ঢাকা, বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ৯, ২০২৫ | ২৪ আশ্বিন ১৪৩২
Logo
logo

আমার ওপর কোনো চাপ ছিল না”—স্ত্রীর ধর্মান্তর বিতর্কে মুখ খুললেন সংগীত পরিচালক ইসমাইল দরবার


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ০৯ অক্টোবর, ২০২৫, ০২:১০ পিএম

আমার ওপর কোনো চাপ ছিল না”—স্ত্রীর ধর্মান্তর বিতর্কে মুখ খুললেন সংগীত পরিচালক ইসমাইল দরবার

ভারতের জনপ্রিয় সংগীত পরিচালক ইসমাইল দরবার সম্প্রতি নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মুখ খুললেন। স্ত্রী আয়েশা দরবার (পূর্বে প্রীতি) ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর থেকে তাকে ঘিরে ওঠে নানা বিতর্ক। অভিযোগ ওঠে— “স্ত্রীকে জোর করে ধর্মান্তর করেছেন ইসমাইল।” তবে এবার তিনি জানালেন, এ অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা।

সাংবাদিক ভিকি লালওয়ানিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই সুরকার বলেন, “আয়েশার ইসলাম গ্রহণের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ তার নিজের। আমি কোনোদিন ওর ওপর চাপ প্রয়োগ করিনি। ও নিজে চেয়েছিল বলেই ধর্মান্তরিত হয়েছে।”

“প্রথম স্ত্রীকে প্রতারণা করিনি”

ইসমাইল জানান, প্রথম স্ত্রী ফারজানার সঙ্গে তার বিচ্ছেদের পরই আয়েশার সঙ্গে পরিচয় হয়। “আমাদের মধ্যে কখনো কোনো ঝগড়া হয়নি, শুধু দূরত্ব তৈরি হয়েছিল,” বলেন তিনি।

সাক্ষাৎকারে জানতে চাওয়া হয়— এই সম্পর্ক নিয়ে ছেলেরা কি ক্ষুব্ধ ছিল? উত্তরে ইসমাইল বলেন, “না, ওরা পরিস্থিতি বুঝেছিল। খুব পরিণত আচরণ করেছে। আমি গর্বিত, ওরা কখনো আমাকে বিচার করেনি।”

প্রথম স্ত্রীকে প্রতারণার অভিযোগ অস্বীকার করে ইসমাইল বলেন, “ফারজানার সঙ্গে একবার ঝগড়ার পর আমি আয়েশাকে ফোন করি। আমরা একসঙ্গে ড্রাইভে যাই। এক ঘণ্টা পর আমি ওকে বিয়ের প্রস্তাব দিই, আর ও সঙ্গে সঙ্গেই ‘হ্যাঁ’ বলে দেয়। ও আমার কাজের ভক্ত ছিল, আর সেখান থেকেই আমাদের মধ্যে বন্ধন গড়ে ওঠে।”

“আয়েশা আজও আমাকে জামা পরিয়ে দেয়”

ধর্মান্তরের পর আয়েশা বিনোদন জগৎ থেকে সরে এসে পুরোপুরি সংসারে মন দেন। ইসমাইল বলেন, “আয়েশা আজও আমার জামা-কাপড় পরিয়ে দেয়, এমনকি জুতার ফিতাও বেঁধে দেয়। সে নিজের ক্যারিয়ার ছেড়েছে আমাদের সন্তানদের জন্য।”

ইসমাইল ও ফারজানার দুই ছেলে আওয়েজ ও জায়েদ দরবার, যারা এখন জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর। আয়েশার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নিয়েও গর্ব করেন ইসমাইল। “ওরা আয়েশাকে ‘আয়েশা মাম্মি’ বলে ডাকে। ওদের মধ্যে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা আছে,” জানান এই সংগীত পরিচালক।

“আমার জীবনের মতো গানেও ছিল সুরের ওঠানামা”

ইসমাইল দরবার বলিউডে নিজের অবস্থান তৈরি করেছেন সঞ্জয় লীলা বানসালির মতো বড় নির্মাতাদের সঙ্গে কাজ করে। তিনি ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ১৯৯৯ ও ‘দেবদাস’ ২০০২-এর মতো আইকনিক সিনেমার সংগীত পরিচালক ছিলেন।

‘হাম দিল দে চুকে সনম’ সিনেমার জন্য ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান ইসমাইল দরবার। আজও তাকে ভারতীয় সংগীতজগতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সুরকার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।