এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর, ২০২৫, ০৬:১০ পিএম

২০২৬ সালের হজ মৌসুমকে সামনে রেখে সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হজযাত্রী ও হজ সংশ্লিষ্ট কর্মীদের জন্য নতুন চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য নির্দেশনা প্রকাশ করেছে। জনস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য টিকা গ্রহণ ও শারীরিক যোগ্যতার পরীক্ষা আরও কঠোর করা হবে।
বাধ্যতামূলক টিকা
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, চারটি টিকা অবশ্যই নিতে হবে—
করোনা ভাইরাস
মেনিনজাইটিস
পোলিও
ইয়েলো ফিভার
টিকা না নিলে হাজিদের সৌদি আরবে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
COVID-19 টিকা: সৌদি অনুমোদিত প্রস্তুতকারকের হতে হবে, সর্বশেষ ডোজ ২০২১–২০২৫ সালের মধ্যে নেওয়া থাকতে হবে এবং যাত্রার কমপক্ষে দুই সপ্তাহ আগে সম্পন্ন করতে হবে।
মেনিনজাইটিস টিকা: পাঁচ বছর পর্যন্ত বৈধ, তবে সৌদিতে প্রবেশের কমপক্ষে ১০ দিন আগে নেওয়া আবশ্যক।
পোলিও টিকা: নজরদারিতে থাকা দেশগুলোর হাজিরা হজের চার সপ্তাহ আগে টিকা নিতে হবে এবং আন্তর্জাতিক টিকা সনদে উল্লেখ থাকতে হবে।
ইয়েলো ফিভার টিকা: নয় মাসের ঊর্ধ্বে সব হজযাত্রীর জন্য বাধ্যতামূলক।
স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে হজে অংশ নাও সম্ভব
সৌদি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যেসব ব্যক্তি গুরুতর শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন, তারা হজে অংশ নিতে পারবেন না। এর মধ্যে রয়েছে—
প্রধান অঙ্গ বিকল রোগী
জটিল দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা
মানসিক বা স্নায়বিক সমস্যা
উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা
সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি
ক্যানসারের চলমান চিকিৎসায় থাকা রোগী
হজের মতো শারীরিকভাবে পরিশ্রমসাপেক্ষ ইবাদতের সময় স্বাস্থ্যঝুঁকি কমানোই মূল উদ্দেশ্য।
অতিরিক্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা
নির্ধারিত টিকা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন না হলে হাজিদের সৌদি প্রবেশ নিষিদ্ধ হবে। প্রয়োজনে কোয়ারেন্টিনে রাখা বা অতিরিক্ত স্বাস্থ্য মূল্যায়ন করা হবে।
সৌদি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিগত কয়েক বছরের হজ আয়োজন এবং বৈশ্বিক মহামারির অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এই নতুন নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছে। বৃহৎ জনসমাগমে সংক্রমণ ও চিকিৎসাজনিত ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করাই এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য।