এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর, ২০২৫, ০২:১০ পিএম

দীর্ঘ ২০ বছর ধরে ফিলিস্তিনের নেতৃত্বে থাকা প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এবার ক্ষমতা হস্তান্তরের ইঙ্গিত দিয়েছেন। ৮৯ বছর বয়সী এই নেতা ঘোষণা করেছেন, তিনি দায়িত্ব পালনে অক্ষম হলে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট হুসেইন আল শেখ।
রোববার এক লিখিত ঘোষণায় আব্বাস বলেন, “যদি কোনো কারণে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পিএ প্রধানের পদ শূন্য হয়ে যায়, তবে ভাইস প্রেসিডেন্ট হুসেইন আল শেখ অস্থায়ীভাবে দায়িত্ব নেবেন। তাঁর কাজ হবে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন আয়োজন করা এবং নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।”
ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফা এই ঘোষণা প্রকাশ করেছে।
সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হলে ৯০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। তবে কোনো অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট সাময়িকভাবে পদে বহাল থাকবেন।
তবে মাহমুদ আব্বাসের নতুন ঘোষণা ফিলিস্তিনের সংবিধানের ডিক্রি নম্বর ১-এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। পূর্বের সেই ধারায় বলা হয়েছিল, প্রেসিডেন্টের পদ শূন্য হলে অস্থায়ী প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন ফিলিস্তিনের পার্লামেন্ট— প্যালেস্টাইনিয়ান ন্যাশনাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বা স্পিকার।
আব্বাস তাঁর ঘোষণায় সেই ডিক্রি বাতিলের কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন। লিখিত বিবৃতিতে তিনি বলেন, “ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, জাতির নিরাপত্তা এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো রক্ষার স্বার্থে সংবিধানের এক নম্বর ডিক্রি বাতিল করা হলো।”
প্রসঙ্গত, মাহমুদ আব্বাস ২০০৫ সালে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন, ইয়াসের আরাফাতের মৃত্যুর পর। আরাফাত ছিলেন ফিলিস্তিনের অবিসংবাদিত নেতা, যিনি ২০০৪ সালের নভেম্বরে প্রয়াত হন। সেই থেকে আব্বাসই ফিলিস্তিনের রাজনীতির কেন্দ্রে রয়েছেন এবং আজও দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব অপরিসীম।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মাহমুদ আব্বাসের এই ঘোষণা কেবল ক্ষমতা হস্তান্তরের ইঙ্গিত নয়, বরং ফিলিস্তিনের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব কাঠামোর দিকনির্দেশনাও দিতে পারে।