এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর, ২০২৫, ০৮:১০ পিএম

ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেই মাঠে নামছে অস্ট্রেলিয়া। সিরিজ শুরুর আগে প্রকাশিত হয়েছে তাদের সম্ভাব্য একাদশ, যেখানে দেখা গেছে বেশ কিছু পরিবর্তন ও নতুন মুখ।
অস্ট্রেলিয়া সম্প্রতি ওয়ানডে সিরিজে ভারতকে হারিয়ে এসেছে, তাই তারা চায় টি-টোয়েন্টি সিরিজেও জয়ের ধারা ধরে রাখতে। মিচেল মার্শের নেতৃত্বে গড়া এই দলে কিছু মূল খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে ট্রাভিস হেড পুরো সিরিজে বিশ্রামে থাকায় ওপেনিংয়ে আসছে বড় পরিবর্তন।
অস্ট্রেলিয়া বনাম ভারত — প্রথম টি-টোয়েন্টির সম্ভাব্য একাদশ:
ওপেনার: মিচেল মার্শ (অধিনায়ক), জশ ফিলিপ
মিডল অর্ডার ও অলরাউন্ডার: ম্যাথিউ শর্ট, টিম ডেভিড, মার্কাস স্টয়নিস, মিচেল ওউন, জশ ইংলিস (উইকেটকিপার)
বোলার: জেভিয়ার বার্টলেট, নাথান এলিস, জশ হ্যাজলউড, তানভির সাংঘা
ওপেনিংয়ে নতুন জুটি:
অধিনায়ক মিচেল মার্শের সঙ্গে ওপেন করতে দেখা যাবে জশ ফিলিপকে। ফিলিপ সাম্প্রতিক ওয়ানডে সিরিজেও খেলেছেন এবং এবার হেডের জায়গায় ব্যাট হাতে নতুন দায়িত্ব পাবেন। মার্শ দুর্দান্ত ফর্মে আছেন, তাই ইনিংসের শুরুতেই বড় রান তোলার দায়িত্ব থাকবে এই জুটির কাঁধে।
শক্তিশালী মিডল অর্ডার:
মাঝের সারিতে রয়েছেন টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ ব্যাটাররা— ম্যাথিউ শর্ট, টিম ডেভিড, মার্কাস স্টয়নিস ও মিচেল ওউন। এদের প্রত্যেকেই এককভাবে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।
উইকেটকিপার হিসেবে ফিরছেন জশ ইংলিস, যিনি ওয়ানডে সিরিজে ছিলেন না। তিনি এবার চারে ব্যাটিং করতে পারেন, যা দলের ব্যাটিং গভীরতায় নতুন ভারসাম্য আনবে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দলটি সপ্তম উইকেট পর্যন্ত ব্যাট করে, তাই প্রথম পাঁচ ব্যাটারের উপরই বেশি দায়িত্ব থাকবে রান তোলার।
বোলিংয়ে চমক:
অস্ট্রেলিয়ার স্পিন বিভাগে এসেছে বড় পরিবর্তন। ব্যক্তিগত কারণে অ্যাডাম জাম্পা নেই এই সিরিজে, তার বদলে দলে সুযোগ পেয়েছেন তরুণ স্পিনার তানভির সাংঘা।
ফাস্ট বোলিং আক্রমণে থাকছেন জেভিয়ার বার্টলেট, নাথান এলিস ও জশ হ্যাজলউড, যারা ইনিংসের তিনটি পর্যায়েই উইকেট শিকার করার দায়িত্বে থাকবেন।
সাংঘা একমাত্র বিশেষজ্ঞ স্পিনার হলেও, পার্ট-টাইম স্পিনে তাকে সহায়তা করবেন ম্যাথিউ শর্ট। অন্যদিকে মার্কাস স্টয়নিস ও মিচেল ওউন ফাস্ট বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে বল হাতে কাজ করবেন।
প্রথম টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে ক্যানবেরায়, যেখানে দুই দলই বিশ্বকাপ ২০২৬-কে সামনে রেখে সেরা সমন্বয় খুঁজে বের করতে চাইবে।