 
	 
	 
		    এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ৩০ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:১০ পিএম

পশ্চিমবঙ্গের এসআইআর আতঙ্ক একবার আবার প্রাণ কেড়ে নিলো। গত তিন দিনে দুইজনের মৃত্যু এবং একজনের আত্মহত্যার চেষ্টা লক্ষ্য করা গেছে। আতঙ্কের কেন্দ্রবিন্দু হলো ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR)।
বৃহস্পতিবার মারা যাওয়া ব্যক্তির বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর শহরের তোলাপাড়া এলাকায়। বীরভূম জেলার ইলামবাজারে অবস্থানরত তার মেয়ের বাড়িতেই ৯৫ বছর বয়সী ক্ষিতীশ চন্দ্র মজুমদার আত্মহত্যা করেন। এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
ভারতের নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় ক্ষিতীশ মজুমদারের নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল না। তাতেই তিনি মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন। ভয়ের কারণ—নাম না থাকায় এসআইআর শুরু হলে তাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করা হতে পারে। যদিও পরবর্তী ভোটার তালিকায় তার নাম ছিল।
ক্ষিতীশের কন্যা পুতুল বিশ্বাস বলেন, “চারপাশে এনআরসি ও এসআইআর আতঙ্ক যে বাতাবরণ তৈরি করেছে, তা বাবাকেও গ্রাস করেছিল। অধিকাংশ সময় তিনি মনমরা থাকতেন। সেই থেকেই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, যা এই ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে আনে।”
ঘটনার খবর পেয়ে মেদিনীপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক ও জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা সহ দলের শীর্ষ নেতারা মৃত ব্যক্তির বাড়িতে যান।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ক্ষিতীশ মজুমদার ১৪ বছরের বেশি সময় ধরে তোলাপাড়া এলাকায় বসবাস করছিলেন। সেখানে তাঁর ছেলে ও নাতি-নাতনি থাকতেন। নাতনি হিরুবালা মজুমদার জানান, দাদুর ভোটার কার্ড দীর্ঘদিন ছিল না। সম্প্রতি কার্ড তৈরি হলেও পরিবারের অন্য সদস্যরাও আতঙ্কিত।
উল্লেখ্য, জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) আতঙ্কে গত মঙ্গলবারই উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মহাজাতি নগরে ৫৭ বছর বয়সী প্রদীপ কর আত্মহত্যা করেন। এরপর বুধবার বুড়িরহাট-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের জিতপুর গ্রামের খায়রুল শেখ আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম ‘খইরুল শেখ’ হিসেবে থাকায় বিভ্রান্তি ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
