ঢাকা, সোমবার, নভেম্বর ৩, ২০২৫ | ১৯ কার্তিক ১৪৩২
Logo
logo

বাবর আজমের দুর্দান্ত রেকর্ড! কোহলি-রোহিতকে ছাড়িয়ে সিরিজ জয়ে উজ্জ্বল পাকিস্তান


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ০২ নভেম্বর, ২০২৫, ০৩:১১ পিএম

বাবর আজমের দুর্দান্ত রেকর্ড! কোহলি-রোহিতকে ছাড়িয়ে সিরিজ জয়ে উজ্জ্বল পাকিস্তান

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে দারুণ জয় পেয়েছে পাকিস্তান। শনিবার (১ নভেম্বর) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে প্রোটিয়াদের ৪ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে নিজেদের করে নেয় স্বাগতিকরা। ১৩৯ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করে এক ওভার বাকি থাকতেই জিতেছে বাবর আজমের দল। ম্যাচে ৪৭ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন বাবর।

 বাবর আজমের নতুন রেকর্ড

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের আগের ম্যাচেই রোহিত শর্মাকে ছাড়িয়ে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের মালিক হয়েছিলেন বাবর আজম। এবার আরও এক ভারতীয় তারকা বিরাট কোহলিকে পেছনে ফেললেন তিনি।
টি-টোয়েন্টিতে আজ নিজের ৩৭তম ফিফটি করেছেন বাবর, সঙ্গে আছে তিনটি সেঞ্চুরিও। সব মিলিয়ে ৪০টি ফিফটি প্লাস ইনিংস খেলেছেন তিনি — যা কোহলির ৩৯ ইনিংসকেও ছাড়িয়ে গেছে। তৃতীয় স্থানে আছেন রোহিত শর্মা, তাঁর ইনিংস ৩৭টি।

 পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে উত্থান-পতন

লাহোরে ছোট টার্গেট তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। ওপেনার সায়েম আইয়ুব ‘ডাক’ মেরে ফেরেন। এই আউটের ফলে তিনি পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ১০টি ডাকের মালিক হয়েছেন উমর আকমলের সঙ্গে।
শুধু তাই নয়, আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশের ব্যাটারদের মধ্যে এক বছরে সর্বাধিক ডাকের (৭টি) রেকর্ডও এখন সায়েমের দখলে।

প্রথমদিকে উইকেট হারালেও ধীরে ধীরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় পাকিস্তান। শাহিবজাদা ফারহান (৪৪ রানে আউট) ফেরার পর বাবর আজম ও সালমান আলি আগা ৭৬ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়ে দলকে জয়ের দোরগোড়ায় নিয়ে যান।

দলের রান যখন ১২০, তখন আগা ২৬ বলে ৩৩ রান করে আউট হন। এরপর বাবরও ৯ চার মেরে ৪৭ বলে ৬৮ রান করে বশের দ্বিতীয় শিকার হন। যদিও তখন জয় ছিল নাগালের মধ্যেই।

শেষদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা আরও দুটি উইকেট নিলেও পাকিস্তানের জয় আর আটকাতে পারেনি। সহজ জয় তুলে নিয়ে সিরিজও নিজেদের করে নেয় বাবর বাহিনী।

দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং ব্যর্থতা

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রোটিয়াদের শুরুটাই ছিল ভয়াবহ। প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে স্টাম্পড হন কুইন্টন ডি কক। পরের বলেই উসমান তারিকের ক্যাচে ফেরেন লুহান ড্রে প্রেটোরিয়াস — স্কোরবোর্ডে তখনও শূন্য!

রেজা হেনড্রিকস ও ডিওয়াল্ড ব্রিভিস ৩৬ রানের জুটি গড়লেও সেটি বড় কিছুতে পরিণত হয়নি। ২২ বলে ২১ রান করে আউট হন ব্রিভিস, এক রানেই ফেরেন ম্যাথু ব্রিটজ।
অধিনায়ক ডোনোভান ফেরেইরার ১৪ বলে ২৯ রানের ইনিংস কিছুটা আশার আলো জ্বালালেও টিকতে পারেননি বেশি সময়। শেষ পর্যন্ত করবিন বশের ২৩ বলে ৩০ রানের ইনিংসে ১৩৯ রানে থামে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।

পাকিস্তানের বোলিং দাপট

বল হাতে পাকিস্তানের হয়ে সবচেয়ে সফল ছিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ৪ ওভারে ২৬ রান খরচায় নিয়েছেন তিনটি উইকেট। এছাড়া ফাহিম আশরাফ ও উসমান তারিক পেয়েছেন দুটি করে শিকার।

এই জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পাশাপাশি একের পর এক ব্যক্তিগত রেকর্ড গড়ে নতুন উচ্চতায় উঠলেন বাবর আজম — যা নিঃসন্দেহে পাকিস্তানি সমর্থকদের জন্য বড় আনন্দের খবর।