এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ০৩ নভেম্বর, ২০২৫, ১২:১১ পিএম

চীন সরকার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির প্রতি, কারণ তিনি এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা (এপেক) সম্মেলনের ফাঁকে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হসিন-ই–এর সঙ্গে দেখা করেছেন।
বেইজিং এই সাক্ষাৎকে ‘এক চীন নীতি’র প্রকাশ্য লঙ্ঘন বলে দাবি করেছে। চীনের মতে, এমন পদক্ষেপ জাপান-চীন সম্পর্কের ওপর “গভীর নেতিবাচক প্রভাব” ফেলতে পারে।
পার্স টুডে জানায়, সানায়ে তাকাইচি গত ৩১ অক্টোবর ও ১ নভেম্বর এপেক সম্মেলনের ফাঁকে হসিন-ই–এর সঙ্গে বৈঠক করেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (Twitter)–এ লেখেন,
“জাপান ও তাইওয়ানের সম্পর্ক আরও গভীর করার ব্যাপারে আমি আশাবাদী।”
এই পোস্টের পরই চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক কড়া ভাষার আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়,
“এই ধরনের পদক্ষেপ একেবারেই অগ্রহণযোগ্য এবং বেইজিং দৃঢ়ভাবে এর বিরোধিতা করছে।”
বিবৃতিতে আরও অভিযোগ করা হয়, তাকাইচি ইচ্ছাকৃতভাবে তাইওয়ানের কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং সেটিকে সামাজিকমাধ্যমে প্রচার করেছেন—যা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
চীনের এই কঠোর প্রতিক্রিয়া এসেছে এমন এক সময়, যখন মাত্র এক দিন আগেই তাকাইচির সঙ্গে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের প্রথম আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ হয়েছিল। সেই বৈঠককে দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নের সম্ভাব্য সূচনা হিসেবে দেখা হয়েছিল।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, এই সাম্প্রতিক ঘটনাটি চীন-জাপান সম্পর্ককে আবারও জটিল করে তুলেছে। কারণ, দুই দেশের সম্পর্ক আগেই সমুদ্রসীমা বিরোধ, বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা এবং তাইওয়ান প্রণালীর উত্তেজনা নিয়ে টানাপোড়েনে ছিল।
এখন তাকাইচির এই পদক্ষেপ সেই উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন কূটনৈতিক মহল।