ঢাকা, বুধবার, নভেম্বর ৫, ২০২৫ | ২০ কার্তিক ১৪৩২
Logo
logo

বাংলাদেশ ও আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ বিরোধ আন্তর্জাতিক সালিশে, প্রশ্ন তুলছে বিলিং ও মূল্যের পার্থক্য


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ০৪ নভেম্বর, ২০২৫, ০২:১১ পিএম

বাংলাদেশ ও আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ বিরোধ আন্তর্জাতিক সালিশে, প্রশ্ন তুলছে বিলিং ও মূল্যের পার্থক্য

বিদ্যুৎ বিল ও ব্যয়ের হিসাব নিয়ে তৈরি হওয়া দীর্ঘদিনের বিরোধ এবার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ও ভারতের আদানি পাওয়ার উভয় পক্ষই এই বিরোধ মেটাতে আন্তর্জাতিক সালিশ প্রক্রিয়ায় যেতে সম্মত হয়েছে।

ভারতের শীর্ষ ধনকুবের গৌতম আদানির মালিকানাধীন আদানি পাওয়ার ২০১৭ সালের চুক্তি অনুযায়ী পূর্ব ভারতের গড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে (ক্ষমতা ১,৬০০ মেগাওয়াট) বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। বর্তমানে এই কেন্দ্র থেকেই দেশের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় ১০ শতাংশ আসে।

আদানি পাওয়ারের এক মুখপাত্র সোমবার (৩ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে জানান, “কিছু ব্যয় ও বিলিং নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। উভয় পক্ষ সালিশ আহ্বানে সম্মত হয়েছে। আমরা দ্রুত ও পারস্পরিকভাবে লাভজনক সমাধানে আশাবাদী।”

অন্যদিকে, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, “আলোচনা এখনো চলছে। প্রয়োজনে সালিশ প্রক্রিয়ায় যাওয়া হবে।”

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার অভিযোগ করেছে—ভারত সরকারের কর সুবিধা গড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন খরচে প্রতিফলিত করা হয়নি, যা চুক্তি লঙ্ঘনের শামিল।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ প্রতি ইউনিট ১৪.৮৭ টাকায় আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনেছে, যা ভারতের অন্যান্য কোম্পানির গড় দামের (প্রতি ইউনিট ৯.৫৭ টাকা) তুলনায় অনেক বেশি।

তবে আদানি পাওয়ার জানায়, বাংলাদেশের কাছে তাদের বকেয়া বিল এখন ১৫ দিনের সমপরিমাণে নেমে এসেছে, যেখানে চলতি বছরের মে মাসে তা ছিল প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার।

কোম্পানিটি আরও জানায়, তারা বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ, এবং বাংলাদেশকে নিরবচ্ছিন্ন ও প্রতিযোগিতামূলক দামে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখবে।