ঢাকা, বুধবার, নভেম্বর ৫, ২০২৫ | ২১ কার্তিক ১৪৩২
Logo
logo

বড় ঘোষণা! আগামী বছর থেকে প্রতিদিন ৩ ঘণ্টা বিনামূল্যে সৌরবিদ্যুৎ দেবে অস্ট্রেলিয়া সরকার


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ০৫ নভেম্বর, ২০২৫, ০৪:১১ পিএম

বড় ঘোষণা! আগামী বছর থেকে প্রতিদিন ৩ ঘণ্টা বিনামূল্যে সৌরবিদ্যুৎ দেবে অস্ট্রেলিয়া সরকার

অস্ট্রেলিয়ার মানুষদের জন্য দারুণ খবর! আগামী বছর থেকেই দেশটির প্রতিটি ঘর প্রতিদিন অন্তত তিন ঘণ্টা করে বিনামূল্যে সৌরবিদ্যুৎ পাবে। ২০২৬ সালে শুরু হতে যাওয়া নতুন জ্বালানি সাশ্রয়ী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই সুবিধা দেওয়া হবে। সৌর প্যানেল থাকুক বা না থাকুক—সব পরিবারই এতে অংশ নিতে পারবে। বিষয়টি জানিয়েছেন দেশটির জ্বালানি মন্ত্রী ক্রিস বোয়েন, খবর রয়টার্সের।

‘সোলার শেয়ারার ( নামে এই কর্মসূচি প্রথমে চালু হবে নিউ সাউথ ওয়েলস, সাউথ অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব কুইন্সল্যান্ডে। পরে ধাপে ধাপে এটি অস্ট্রেলিয়ার অন্য অঞ্চলেও সম্প্রসারিত হবে বলে জানায় জ্বালানি মন্ত্রণালয়।

তবে এই বিনামূল্যের বিদ্যুৎ সুবিধা পাওয়া যাবে কেবল দিনের মাঝামাঝি সময়ে, যখন সূর্যের তেজ সবচেয়ে বেশি থাকে এবং সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন সর্বোচ্চ হয়।

মন্ত্রী ক্রিস বোয়েন বলেন, “দিনের মাঝামাঝি সময়ে মানুষ যদি বিনামূল্যে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করে, তাহলে তারা সরাসরি বিদ্যুৎ খরচ বাঁচাতে পারবে। সৌর প্যানেল থাকুক বা না থাকুক, বাড়ি নিজের হোক বা ভাড়া—সবাই এ সুবিধা পাবে।”

তিনি আরও বলেন, “যত বেশি মানুষ তাদের বিদ্যুৎ ব্যবহার এই সময়ের মধ্যে সরিয়ে আনবে, ততটাই জাতীয় গ্রিডের ওপর চাপ কমবে। এতে সিস্টেম আরও কার্যকর হবে এবং শেষ পর্যন্ত সবার বিদ্যুৎ বিলও কমে আসবে।”

বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার প্রায় ৪০ লাখ ঘরে সৌর প্যানেল রয়েছে। রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে এসব প্যানেল প্রায়ই চাহিদার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করে, যার ফলে অনেক সময় বাজারে বিদ্যুতের দাম শূন্যের নিচে নেমে যায়।

তবে বিকালের পর যখন ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ ব্যবহারের চাপ বাড়ে, তখন সৌরশক্তির উৎপাদন কমে যায়। এর ফলে সরবরাহ ও চাহিদার মধ্যে ভারসাম্য নষ্ট হয়, এবং বিদ্যুৎ গ্রিডে চাপ পড়ে।

অস্ট্রেলিয়ার জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘সোলার শেয়ারার’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে সৌর প্যানেল থাকা বাধ্যতামূলক নয়। তবে যারা এই বিনামূল্যের সৌরবিদ্যুৎ সুবিধা নিতে চান, তাদের স্মার্ট মিটার থাকতে হবে।

এই উদ্যোগকে অস্ট্রেলিয়ার নবায়নযোগ্য জ্বালানির যাত্রায় একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।