এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ০৫ নভেম্বর, ২০২৫, ০৫:১১ পিএম

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল ICC শেষমেশ জানিয়ে দিল কেন পাকিস্তানের ফাস্ট বোলার হারিস রাউফকেই শুধু সাসপেন্ড করা হয়েছে, যখন একই আসিয়াস কাপ বিতর্কে জড়িত ভারতীয় খেলোয়াড়রাও ছিলেন!
এশিয়া কাপ ২০২৫-এর ফাইনালে ভারত-পাকিস্তান খেলার পর ট্রফি নিয়ে বিতর্কিত ইশারা করেছিলেন বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়। পাকিস্তানের হারিস রাউফ, সহিবজাদা ফারহান এবং ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব – সবার বিরুদ্ধেই অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছিল। কিন্তু শাস্তি পেয়েছেন শুধুই হারিস রাউফ। কেন?
হারিস রাউফের সাসপেন্ডের আসল কারণ
হারিস রাউফের বিরুদ্ধে ICC-র আচরণবিধি ভঙ্গের দুটি আলাদা অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। গত ১৪ এবং ২৮ সেপ্টেম্বর ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে তার "কমন্ড দ্যাট ব্রিংস দ্য গেম ইনটু ডিসরিপিউট" (খেলাকে অসন্মানিত করে এমন আচরণ) করার জন্য তাকে ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, কোনো খেলোয়াড় যদি ২৪ মাসের মধ্যে চার বা তার বেশি ডিমেরিট পয়েন্ট সংগ্রহ করেন, তাহলে তা সাসপেনশন পয়েন্টে রূপান্তরিত হয়। হারিস রাউফের সংগ্রহই ছিল চার ডিমেরিট পয়েন্ট, যা দুইটি সাসপেনশন পয়েন্টের সমান। এই জন্যই তাকে পরবর্তী দুইটি ওয়ানডে ম্যাচ (৪ ও ৬ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে) থেকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
অন্য খেলোয়াড়দের কী হল?
সূর্যকুমার যাদব: একই ধারা (আর্টিকেল ২.২১) ভঙ্গের জন্য তার ম্যাচ ফির ৩০% জরিমানা করা হয়েছে এবং তাকে দুইটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে।
সাহিবজাদা ফারহান: তাকে কেবল একটি আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
অর্জুন সিং: তার বিরুদ্ধে আর্টিকেল ২.৬ (কাউকে উত্তেজিত করার চেষ্টা) লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। ম্যাচ রেফারি তাকে দোষমুক্ত ঘোষণা করেন।
জসপ্রীত বুমরাহ: বুমরাহও একই ধারা ভঙ্গ করেছেন বলে স্বীকার করে নিয়েছিলেন। তার ফলে একটি আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা এবং একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ মেনে নেওয়ায় তার কোনো আনুষ্ঠানিক শুনানি হয়নি।
বড় প্রশ্ন: অর্জুন সিং কেন বেকসুর?
খেলার মাঠের বাইরে হলেও, অর্জুন সিং-এর করা জেসচার অন্য সবার চেয়ে বেশি আপত্তিকর ছিল বলে অনেকেরই মত। তিনি সরাসরি হারিস রাউফকে লক্ষ্য করেই ইশারা করেছিলেন। কিন্তু আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, সেই কাজটি তিনি মাঠের ভিতরে ভারতের জার্সি পরে থাকাকালীন করেননি। তাই সেটি আনুষ্ঠানিকভাবে আচরণবিধির লঙ্ঘন হিসেবে ধরা পড়েনি। এই কারণেই তিনি কোনো শাস্তি পাননি।
মোট কথা, হারিস রাউফের 'পুরনো রেকর্ড'ই তাকে এই সাসপেনশনের মুখে ফেলেছে, যখন অন্যরা তুলনামূলকভাবে কম ডিমেরিট পয়েন্ট থাকায় রক্ষা পেয়েছেন।