এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ০৭ নভেম্বর, ২০২৫, ০২:১১ পিএম

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছেন, ইরান তাদের ওপর চাপানো যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে। তিনি এই অনুরোধ নিয়ে আলোচনা করতে পুরোপুরি প্রস্তুত।
মধ্য এশিয়ার নেতাদের সঙ্গে এক নৈশভোজে ট্রাম্প বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, ইরান বারবার জিজ্ঞেস করছে—নিষেধাজ্ঞাগুলো তুলে নেওয়া যায় কি না। ইরানের ওপর আমাদের খুবই কঠিন নিষেধাজ্ঞা আছে। এটা তাদের পরিস্থিতি সত্যিই কঠিন করে দিয়েছে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমি সেটা শুনতে রেডি, আর দেখব কী হয়। তবে আমি এর জন্য খোলা মনের।’
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে ইরানের বিরুদ্ধে পারমাণবিক কর্মসূচি চালানোর অভিযোগ করে আসছে। ইরান অবশ্য জোর গলায় বলে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শুধু শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে। পরমাণু অস্ত্র বানানো তাদের লক্ষ্য নয়।
তেহরান বছরের পর বছর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার চাপে আছে। বিশেষ করে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র তেহরানের সঙ্গে একটা আন্তর্জাতিক পারমাণবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর ইরানের ওপর আরও কড়া শাস্তি চাপানো হয়, আগের নিষেধাজ্ঞাগুলো আবার ফিরিয়ে আনা হয়।
গত জুনের মাঝামাঝি ইসরায়েল ইরানের ওপর অভূতপূর্ব আগ্রাসন শুরু করে, বোমা হামলা চালায়। এতে দুই দেশের মধ্যে পুরোদস্তুর যুদ্ধের আশঙ্কা জাগে। এই সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের কয়েকটা পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করে।
ইসরায়েলের হামলার জবাবে ইরান পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র আর ড্রোন ছোড়ে, দুই দেশের মধ্যে সংঘাত বেঁধে যায়। ওই লড়াই ১২ দিন চলে। ইসরায়েলের হামলায় এপ্রিলে তেহরান-ওয়াশিংটনের মধ্যে শুরু হওয়া পারমাণবিক আলোচনা থমকে যায়।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ইরান একসময় ‘মধ্যপ্রাচ্যের দাপটের শক্তি’ ছিল। কিন্তু এখন তাদের ‘পারমাণবিক অস্ত্র’ পাওয়ার আর কোনো চান্স নেই।
গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফেরা এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট বারবার বলছেন, হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। তবে ক্ষতির পুরো ছবি এখনো অজানা।
সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স আর জার্মানি প্রক্রিয়া শুরু করার পর জাতিসংঘ ‘স্ন্যাপব্যাক’ ব্যবস্থায় তেহরানের বিরুদ্ধে আবার নিষেধাজ্ঞা চালু করে।
এসব ব্যবস্থা ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের পারমাণবিক আর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সব লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র-ইরান পারমাণবিক আলোচনার কয়েক দফা ওমানে হয়েছে। এই দেশটা দুই পক্ষকেই আলোচনায় ফেরার আহ্বান জানিয়েছে। আলোচনার লক্ষ্য—নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বদলে inculের পারমাণবিক কার্যক্রম সীমিত করে নতুন চুক্তি করা।