ঢাকা, শনিবার, নভেম্বর ৮, ২০২৫ | ২৪ কার্তিক ১৪৩২
Logo
logo

তুরস্কের ফুটবলে জুয়ার কেলেঙ্কারি ফাঁস, ১৭ রেফারি ও ক্লাব সভাপতি গ্রেফতার অভিযানে তোলপাড়


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ০৮ নভেম্বর, ২০২৫, ০৪:১১ পিএম

তুরস্কের ফুটবলে জুয়ার কেলেঙ্কারি ফাঁস, ১৭ রেফারি ও ক্লাব সভাপতি গ্রেফতার অভিযানে তোলপাড়

তুরস্কের ফুটবল অঙ্গনে তুমুল আলোড়ন! বিশাল এক জুয়ার কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়েছে, যেখানে অভিযুক্ত হয়েছেন রেফারি থেকে শুরু করে ক্লাব সভাপতিরাও। গতকাল শুক্রবার দেশটির প্রসিকিউটররা ২১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন ১৭ জন রেফারি এবং তুরস্কের শীর্ষ লিগের একটি ক্লাবের সভাপতি।

ইস্তানবুলের প্রধান প্রসিকিউটর কার্যালয় জানিয়েছে, ইস্তানবুলসহ ১২টি প্রদেশে একযোগে অভিযান চালিয়ে অন্তত ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে। রেফারিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা দায়িত্বের অপব্যবহার করেছেন এবং ম্যাচের ফল প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন।

ক্রীড়াবিষয়ক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএন জানায়, গ্রেফতার হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন আইউপস্পোর ক্লাবের সভাপতি মুরাত ওজকায়া এবং কাসিমপাসার সাবেক মালিক ফাতিহ সারাচ। উল্লেখ্য, কাসিমপাসা ক্লাবটি গত সেপ্টেম্বর থেকে ট্রাস্টির অধীনে পরিচালিত হচ্ছে, কারণ ক্লাবটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আরেকটি দুর্নীতির মামলার তদন্ত চলছে।

এই কেলেঙ্কারির খবর সামনে আসে ঠিক তখনই, যখন গত সপ্তাহে তুরস্ক ফুটবল ফেডারেশন (টিএফএফ) হঠাৎ করে ১৪৯ জন রেফারি ও সহকারী রেফারিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে। ফেডারেশনের সভাপতি ইব্রাহিম হাজিওসমানওগ্লু জানান, সরকারি তদন্তে দেখা গেছে ৫৭১ জন সক্রিয় রেফারির মধ্যে ৩৭১ জনেরই বেটিং কোম্পানিতে অ্যাকাউন্ট আছে!

এর মধ্যে ১৫২ জন রেফারি সরাসরি ম্যাচে বাজি ধরেছেন, যার মধ্যে রয়েছেন ৭ জন শীর্ষ পর্যায়ের রেফারি এবং ১৫ জন সহকারী রেফারি।

সবচেয়ে চমকপ্রদ তথ্যটি দেন হাজিওসমানওগ্লু নিজেই। তিনি বলেন, “কিছু রেফারি গত পাঁচ বছরে ১০ হাজারেরও বেশি ম্যাচে বাজি ধরেছেন। একজন রেফারি তো একাই ১৮,২২৭টি ম্যাচে বাজি ধরেছেন!”

এই ঘটনার পর পুরো তুরস্কের ক্রীড়া অঙ্গনে মহা চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী তদন্তের তাগিদ দিয়েছেন এবং টিএফএফ জানিয়েছে, রেফারি নিয়োগ ও ম্যাচ ব্যবস্থাপনায় কঠোর সংস্কার আসছে।