এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর, ২০২৫, ০৪:১১ পিএম

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির লাল কেল্লার কাছে ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণের পর, বাংলাদেশসহ তিনটি প্রতিবেশী দেশের সীমান্তে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে ভারত। সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে ভারত সরকার এই নির্দেশনা দেয়, এর আগে দেশের একাধিক রাজ্যে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
সন্ধ্যায় লাল কেল্লার নিকটে এক গাড়ি বিস্ফোরণে অন্তত ৯ জন নিহত এবং ২৪ জন আহত হন। ঘটনার পরই দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানায়, বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত কোনো সংগঠনের নাম এখনও জানা যায়নি, তবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা তদন্ত শুরু করেছেন।
🧭 বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও নেপাল সীমান্তে কড়া নজরদারি
বিস্ফোরণের পরই সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী (বিএসএফ) পাঞ্জাবের ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে নজরদারি জোরদার করেছে। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ-নেপাল সীমান্তেও নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থাকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরা অঞ্চলে। বিএসএফ সদস্যদের বলা হয়েছে, সীমান্ত দিয়ে যাতায়াতকারী প্রত্যেককে কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে এবং সন্দেহজনক যেকোনো গতিবিধি সঙ্গে সঙ্গে জানাতে।
🚓 রাজ্যজুড়ে টহল ও তল্লাশি অভিযান
এনডিটিভি জানিয়েছে, লখনউ থেকে জারি করা এক নির্দেশে উত্তরপ্রদেশের সব জেলার পুলিশকে সতর্ক অবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে। সংবেদনশীল এলাকায় টহল বৃদ্ধি, সন্দেহজনক যানবাহন তল্লাশি এবং জনবহুল স্থানে অতিরিক্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
দিল্লি বিস্ফোরণের প্রভাব পড়েছে উত্তর ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও। দেরাদুন, জয়পুর এবং রাজস্থানের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রাজস্থানের ডিজিপি রাজীব শর্মা সকল জেলা পুলিশ সুপারকে ২৪ ঘণ্টা উচ্চ সতর্কতা বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন।
🧨 বিস্ফোরণের বিস্তারিত ও তদন্ত
দিল্লি পুলিশের কমিশনার জানান, সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে লাল কেল্লা ট্রাফিক সিগনালের কাছে ধীরগতিতে চলা একটি গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। তখন গাড়ির ভেতরে যাত্রীরা ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে প্রাপ্ত ভিডিও ফুটেজ ও ধ্বংসাবশেষ বিশ্লেষণ করছে ফরেনসিক দল।
এদিকে, মুম্বাইসহ মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কড়া করা হয়েছে। রেলস্টেশন, বিমানবন্দর, শপিংমল এবং জনবহুল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অংশে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান জোরদার করেছে।
ভারতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক এই বিস্ফোরণ দেশের সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি নতুন করে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে, বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে চলমান বাণিজ্য ও চলাচলের প্রেক্ষাপটে।