এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর, ২০২৫, ০৪:১১ পিএম

গাজায় যুদ্ধবিরতি জারি হয়েছে এক মাস, কিন্তু তার পরও ফিলিস্তিনের সেই অবরুদ্ধ এলাকায় মানবিক সাহায্য পৌঁছাতে ইচ্ছাকৃতভাবেই বাধা দিচ্ছে ইসরাইল। এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির দাবি, সীমিত প্রবেশপথ, কড়াকড়ি নিষেধাজ্ঞা আর আমলাতান্ত্রিক জটিলতার ফাঁদ পেতে ত্রাণ কাজকে একরকম অচল করে রাখার চেষ্টা চলছে।
মঙ্গলবার আনাদোলু এজেন্সির একটি প্রতিবেদনে এই ভয়াবহ চিত্রটি ফুটে উঠেছে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয় দপ্তর (ওসিএইচএ)-এর তথ্য দিয়ে সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে সরাসরি কথা বলেন জাতিসংঘের মুখপাত্র ফারহান হক। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ থামলেও গাজায় ত্রাণ সাহায্য বাড়ানোর সব প্রচেষ্টাই এখনো নানা জটিল প্রক্রিয়া, মানবিক সংস্থাগুলোর ওপর কড়া নজরদারি, প্রবেশের রাস্তা কমে আসা এবং চলমান অনিরাপদ পরিস্থিতির কারণে মুখ থুবড়ে পড়ছে।’
তিনি আরও ভয়াবক একটি তথ্য দেন, ‘গাজার অনেক এলাকায় আমাদের সাহায্যকারী দলগুলোকে এখনো ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়, যখনই তারা কোথাও যেতে চায়।’
ফারহান হক সেই উদাহরণই দিলেন, ‘গত সপ্তাহে আমরা মোট আটবার ত্রাণ পাঠানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র দু’টোর পুরোপুরি অনুমোদন দিয়েছে ইসরাইল। বাকি চারটি মিশনেই নানা বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে আমাদের। এক ক্ষেত্রে তো সাহায্যকারী দলটিকে অনুমতির জন্য প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করতে হয়েছিল!’
জাতিসংঘের মুখপাত্র এ-ও বলেন যে, ‘এতসব বাধার মধ্যেও জাতিসংঘ এবং তার সহযোগী সংস্থাগুলো কোনো না কোনোভাবে গাজায় সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা সামান্য কোনো ফাঁক পেলেই তা কাজে লাগাতে চাইছে।’
ইসরাইল কেন গাজায় আরও বেশি সংখ্যক সীমান্তপথ খুলে দিচ্ছে না— এমন প্রশ্নের জবাবে ফারহান হক স্পষ্টই বলেন, ‘এই সমস্যাটির সমাধান তো ইসরাইলি পক্ষের হাতেই রয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলছি, আরও রাস্তা খোলার জন্য চাপ দিচ্ছি, কিন্তু এখনো তারা সেটা করেনি।’
উল্লেখ্য, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর之后 ইসরাইলের হামলা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত তাদের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬৯ হাজারেরও বেশি মানুষ। আর আহত হয়েছেন ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ।