ঢাকা, বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ১৩, ২০২৫ | ২৯ কার্তিক ১৪৩২
Logo
logo

দিল্লি ও ইসলামাবাদ বিস্ফোরণ নিয়ে সীমান্তে তীব্র অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ১৩ নভেম্বর, ২০২৫, ০৩:১১ পিএম

দিল্লি ও ইসলামাবাদ বিস্ফোরণ নিয়ে সীমান্তে তীব্র অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ

ভারতের রাজধানী দিল্লি ও পাকিস্তানের ইসলামাবাদে সাম্প্রতিক বোমা বিস্ফোরণ ঘিরে দুই দেশের মধ্যে আবারও উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। সীমান্তজুড়ে এখন চলছে তীব্র অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের লড়াই।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফসহ শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তারা ভারতের দিকে সরাসরি আঙুল তুলেছেন। তাদের দাবি, ইসলামাবাদে হওয়া বিস্ফোরণটি আফগানিস্তান থেকে পরিকল্পিত, আর এর পেছনে রয়েছে ভারতের ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ’। শেহবাজ শরীফ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন—এই ঘটনার কঠোর নিন্দা জানানোর জন্য।

অন্যদিকে, ভারত এই অভিযোগগুলোকে “সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক” বলে উড়িয়ে দিয়েছে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৯৬৭ সালের ‘আনলফুল অ্যাকটিভিটিজ প্রিভেনশন অ্যাক্ট’ (ইউএপিএ) আইনে তদন্ত শুরু হয়েছে।

বিস্ফোরণে ব্যবহৃত গাড়ির মূল মালিক ও বিক্রয়ের সঙ্গে যুক্ত একজনকে আটক করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়ী করা হয়নি। ভারতও পাকিস্তানকে এই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করছে না।

ভারতীয় কর্মকর্তারা বলছেন, পাকিস্তানের এই অভিযোগগুলো আসলে নিজেদের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সঙ্কট ঢাকতে চালানো এক ধরনের প্রচারণা। বিশেষ করে দেশটির বিতর্কিত ২৭তম সংবিধান সংশোধনী ইস্যুতে সমালোচনার মুখে সরকার জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরাতে চাইছে।

এই সংশোধনীর মাধ্যমে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের হাতে আরও ব্যাপক ক্ষমতা চলে যাচ্ছে। সমালোচকদের মতে, এটি সামরিক ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করছে এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে মারাত্মকভাবে দুর্বল করছে।

অন্যদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন—দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্ত দ্রুত ও স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন হবে। তাদের বক্তব্য, “যেই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকুক না কেন, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।”

বর্তমানে দুই দেশের সীমান্তে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। কূটনৈতিক পর্যায়েও উত্তেজনা বাড়ছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতার জন্য নতুন উদ্বেগের ইঙ্গিত দিচ্ছে।