ঢাকা, শনিবার, নভেম্বর ১৫, ২০২৫ | ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
Logo
logo

কফি-গরুর মাংসের দাম চাপে! ভোটের পর আমেরিকায় শুল্ক কমাতে বাধ্য ট্রাম্প 


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ০২:১১ পিএম

কফি-গরুর মাংসের দাম চাপে! ভোটের পর আমেরিকায় শুল্ক কমাতে বাধ্য ট্রাম্প 

রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার এক গুরুত্বপূর্ণ নির্বাহী আদেশে সই করেছেন, যেখানে কফি, গরুর মাংস, টমেটো, কলা সহ বেশ কিছু কৃষি পণ্যের আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।

ট্রাম্পের নতুন আদেশে “পারস্পরিক” বা  শুল্ক কাঠামো থেকে বেশ কিছু পণ্যকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এই হার সাধারণত ১০% থেকে শুরু হয়ে ৫০% পর্যন্ত যেত। তবে এখানেই পুরো ছাড় মিলছে না—অনেক পণ্যে শুল্ক অপরিবর্তিত থাকছে।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়—মার্কিন বাজারে টমেটোর বড় সরবরাহকারী মেক্সিকো থেকে আমদানিকৃত টমেটোতে ১৭% শুল্ক আগের মতোই থাকবে। প্রায় তিন দশক পুরনো বাণিজ্য চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর জুলাইয়ে এই হার চালু হয়, আর এর পরপরই বাজারে টমেটোর দাম হু হু করে বাড়তে শুরু করে।

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর যেসব পণ্যে “পারস্পরিক শুল্ক” দেওয়া হয়নি—সেসব পণ্যের দামই সবচেয়ে দ্রুত বেড়েছে। বিশ্লেষকদের মতে শুল্ক বৃদ্ধি এবং পর্যাপ্ত স্থানীয় সরবরাহ না থাকাই এর মূল কারণ।

এর বড় উদাহরণ কফি। যুক্তরাষ্ট্রে কফির সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী ব্রাজিল আগস্ট থেকে ৫০% শুল্কের মুখোমুখি। কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বলছে—সেপ্টেম্বরে আমেরিকান ভোক্তারা আগের বছরের তুলনায় ২০% বেশি দাম দিয়ে কফি কিনেছেন।

অর্থনীতি নিয়ে ভোটারদের হতাশা, অফ-ইয়ার নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের ভালো ফল—এসবের পর প্রশাসনের ওপর চাপ বাড়ছিল। তাই শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্তকে অনেকে রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে দেখছেন।

ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট বলেছেন—এই সিদ্ধান্ত মূলত যেসব পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে চাষ হয় না, যেমন কফি ও কলা, সেগুলোকেই সামনে রেখে নেওয়া হয়েছে। যদিও স্বল্প পরিমাণে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অঞ্চলেও কফি চাষ হয়, তবু প্রায় সবটাই আমদানিনির্ভর।

শুক্রবার আরও একটি বড় ঘোষণা এসেছে—ট্রাম্প প্রশাসন ও সুইস সরকারের মধ্যে নতুন বাণিজ্য কাঠামো চুক্তি। এতে সুইজারল্যান্ড থেকে আমদানিকৃত পণ্যের শুল্ক ৩৯% থেকে কমিয়ে ১৫% করার প্রস্তাব করা হয়েছে। সুইস পণ্য আমদানিতে এটা ছিল বিশ্বের অন্যতম উচ্চ শুল্কহার।