এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ০৩:১১ পিএম

ভিলেমস্টাডের শহরতলির কুয়াশাচ্ছন্ন সকাল। কুরাসাওয়ের এক ঐতিহ্যবাহী পরিবার কফির আড্ডায় ব্যস্ত। ঘুম জড়ানো পরিবেশ, বাতাসে কফির মিষ্টি গন্ধ—আর পাশের বাড়ির খুঁটিতে উড়ছে লাল-নীল জাতীয় পতাকা। পুরো দেশটাই যেন এক অদ্ভুত রোমাঞ্চে ভাসছে।
তাদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু—ফুটবল। বহু দুঃখ-কষ্টের পর ফুটবলে কুরাসাওয়ের দুর্দান্ত ফেরা। ১৯২৪ সাল থেকে শুরু হওয়া ছোট্ট ফুটবল ইতিহাস এখন ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের কঠিন পথ পেরিয়ে এসে পৌঁছেছে সমতলে। আর মাত্র ১ পয়েন্ট মিললেই ফুটবলের সবচেয়ে বড় মঞ্চে পা রাখতে পারে ক্যারিবিয়ান সাগরের মাঝখানে অবস্থিত ভেনেজুয়েলার উত্তরের এই দেড় লাখ মানুষের দেশটি।
গত বৃহস্পতিবার বারমুডাকে ৭-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে কুরাসাও। গ্রুপে ৫ ম্যাচে তিন জয় নিয়ে তাদের পয়েন্ট ১১। সামনে শেষ ম্যাচ—প্রতিপক্ষ জ্যামাইকা। সেই ম্যাচে জয় বা ড্র যেকোনো একটি ফল এলেই কুরাসাওয়ের সামনে খুলে যাবে ইতিহাসের দরজা—সরাসরি বিশ্বকাপ টিকিট। তাই এখন পুরো দেশেই উৎসবের আমেজ, যদিও তারা ফিফার বড় কোনো টুর্নামেন্টে কখনও খেলেনি।
কনকাকাফ অঞ্চলের বাছাইয়ে কুরাসাও প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর। কঠিন লড়াইয়ে ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়। দ্বিতীয় ম্যাচে বারমুডাকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস ফিরে পায় দলটি। এরপর তৃতীয় ম্যাচে শক্তিশালী জ্যামাইকাকে ২-০ গোলে হারিয়ে তোলপাড় ফেলে দেয় ফুটবলবিশ্বে।
চতুর্থ ম্যাচটিও ড্র হলেও এবার দুই দলই একটি করে গোল খায়। তবে আসল চমক পঞ্চম ম্যাচে—বারমুডার বিপক্ষে ৭-০ গোলের অপ্রত্যাশিত কিন্তু ধ্বংসাত্মক জয়।
এখন তাদের সামনে শেষ ম্যাচ—জ্যামাইকার বিপক্ষে। আগের সাক্ষাতে ২-০ জিতেছিল কুরাসাও। তাই আত্মবিশ্বাস তাদের আকাশচুম্বী।
কুরাসাওয়ের বর্তমান পয়েন্ট ১১, আর জ্যামাইকার ১০। শেষ ম্যাচে যে জিতবে, সে-ই যাবে বিশ্বকাপে। আর এই ম্যাচটিই ১৯ নভেম্বর ডু-অর-ডাই। তবে হারলেও কোয়ার্টার খেলার সম্ভাবনা খোলা আছে।