ঢাকা, রবিবার, নভেম্বর ১৬, ২০২৫ | ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
Logo
logo

২৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও হুমকির মামলায় মেহজাবীন ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ]


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ১৬ নভেম্বর, ২০২৫, ০৪:১১ পিএম

২৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও হুমকির মামলায় মেহজাবীন ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ]

পারিবারিক ব্যবসার পার্টনার হিসেবে রাখার বিনিময়ে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ, হুমকি-ধামকি এবং ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে করা একটি মামলায় মডেল ও অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী এবং তার ভাই আলিসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার একটি আদালত।

তবে জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী তার বিরুদ্ধে জারি হওয়া এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে শুরু থেকেই ভিত্তিহীন বলে দাবি করছেন।

রবিবার ১৬ নভেম্বর আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলাটিতে আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তারা আদালতে হাজির না হওয়ায় গত ১০ নভেম্বর ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক আফরোজা তানিয়া তাদের বিরুদ্ধে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেপ্তার সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পরবর্তী তারিখ আগামী ১৮ ডিসেম্বর ধার্য করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মেহজাবীন বলছেন, "অনলাইনে আমার নাম ব্যবহার করে কিছু ভিত্তিহীন 'মামলা' সংক্রান্ত খবর ছড়িয়ে পড়ছে। আমার সকল সাংবাদিক সহকর্মীদের প্রতি অনুরোধ, দয়া করে কোনো প্রকার যাচাইহীন ও সত্যতা-বিহীন সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকুন।"


মামলার সূত্রে জানা যায়, বাদী আমিরুল ইসলামের সঙ্গে দীর্ঘদিন পরিচয়ের সুবাদে মেহজাবীন চৌধুরী বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তাকে নতুন পারিবারিক ব্যবসার পার্টনার হিসেবে রাখার কথা বলেন। এই জন্য বাদী নগদ অর্থে এবং বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে মোট সাতাশ লাখ টাকা দেন।

এরপর মেহজাবীন ও তার ভাই দীর্ঘদিন ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ না নেওয়ায় বাদী বিভিন্ন সময় টাকা চাইতে গেলে তারা কালক্ষেপণ করতে থাকেন। অভিযোগে আরও বলা হয়, পরবর্তী সময়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারি পাওনা টাকা চাইতে গেলে তারা ১৬ মার্চ হাতিরঝিল রোডের পাশে একটি রেস্টুরেন্টে আসতে বলেন। ওইদিন ঘটনাস্থলে গেলে মেহজাবীন ও তার ভাইসহ আরও অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তারা হুমকি দিয়ে বলেন, "এরপর তুই আমাদের বাসায় টাকা চাইতে যাবি না, তোকে বাসার সামনে পুনরায় দেখলে জানে মেরে ফেলব।"

এসব কথা বলে তারা বাদীকে জীবননাশের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। এ ঘটনায় আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১০৭/ ১১৭(৩) ধারায় মামলাটি দায়ের করেন।