এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর, ২০২৫, ০৬:১১ পিএম

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির লালকেল্লার কাছে ভয়াবহ আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলার ঘটনায় আরেকজন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)। গত সপ্তাহে ঘটে যাওয়া এই বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৩ জন নিহত হন, যা দেশজুড়ে তীব্র উদ্বেগ তৈরি করেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, সন্দেহভাজন আত্মঘাতী হামলাকারী ডা. উমর উন নবীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী আমির রশিদ আলীকে রবিবার দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের পাম্পোরের সাম্বুরার বাসিন্দা।
তদন্ত কর্মকর্তাদের দাবি, আমির রশিদ হামলাকারীর সঙ্গে মিলে বোমা হামলার পরিকল্পনা ও প্রস্তুতিতে সরাসরি ভূমিকা রেখেছিলেন।
এনআইএ এক বিবৃতিতে জানায়,
“আমির রশিদ দিল্লিতেই হামলায় ব্যবহৃত গাড়িটি কেনেন। পরে সেই গাড়িতেই বিস্ফোরক আইইডি বসানো হয়।”
আই২০ মডেলের যে গাড়িটি বিস্ফোরণে ব্যবহার করা হয়, সেটি তার নামেও নিবন্ধিত ছিল বলে নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি।
এনআইএ জানিয়েছে, দিল্লি পুলিশ, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, হরিয়ানা পুলিশ, উত্তরপ্রদেশ পুলিশসহ একাধিক সংস্থার সমন্বয়ে রাজ্যজুড়ে তদন্ত চলছে।
লক্ষ্য—এ হামলার বৃহত্তর নেটওয়ার্ক উন্মোচন এবং জড়িত সকলকে চিহ্নিত করা।
সংস্থাটি আরও জানায়, এখন পর্যন্ত ৭৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, যার মধ্যে আহত ব্যক্তিরাও আছেন।
দিল্লি পুলিশ নিশ্চিত করেছে, গাড়ি বিস্ফোরণটি ঘটান ডা. উমর উন নবী, যিনি হরিয়ানার ফরিদাবাদের ‘আল ফালাহ মেডিকেল কলেজে’ কর্মরত ছিলেন।
বিস্ফোরণের সময় উমরের পা স্টিয়ারিং ও অ্যাক্সিলারেটরের মাঝে আটকে ছিল—যা প্রমাণ করে তিনি নিজেই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন।
এনআইএ উমরের আরেকটি গাড়িও জব্দ করেছে এবং প্রমাণ সংগ্রহের জন্য তা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
গত সোমবার লালকেল্লার ব্যস্ত মেট্রো স্টেশনের কাছে বিস্ফোরণ ঘটে। ওই সময় আশপাশে হাজারো মানুষ উপস্থিত ছিলেন। লালকেল্লা ভারতের প্রতীকী স্থাপনা, যেখানে প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবসে দেশের প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেন।
এর আগে ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়।
তারপর লালকেল্লার বিস্ফোরণকে দেশটির সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।
ভারত সরকার বিবৃতিতে এই বিস্ফোরণকে ‘দেশবিরোধী শক্তির কাপুরুষোচিত হামলা’ বলে নিন্দা জানিয়েছে।
এছাড়াও,