এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ০৫:১১ পিএম

জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি মসনদে বসার পর মনে করা হয়েছিল, হয়তো চীনের সঙ্গে দীর্ঘকালীন সম্পর্ক এবার জুড়বে। কিন্তু অচিরেই পরিস্থিতি ফের খারাপ হতে চলেছে বলেই আশঙ্কা। ক্রমেই পারদ চড়ছে চীন-জাপানের মধ্যে। বেইজিং ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়িছে ‘উদিত সূর্যের দেশ’-কে। সব মিলিয়ে দুই দেশের মধ্যে ফের রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে টোকিও সতর্ক করল চীনে থাকা জাপানি নাগরিকদের।
চীনের ক্যাবিনেট সচিব মাইনরু কিহারা মঙ্গলবার জানিয়েছেন, “আমরা দেশ বা অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি, সেই সঙ্গে রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থাকে বিবেচনা করে সেই ভিত্তিতে রায় দিয়েছি।” এর আগে সোমবার চীনে অবস্থিত জাপানি দূতাবাস সেখানে বসবাসকারী জাপানি নাগরিকদের জানিয়েছে, বাড়ির বাইরে চীনা নাগরিকদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে।
একা একা দূরে ভ্রমণ, বিশেষত শিশুদের সঙ্গে ভ্রমণে বেরলে বিশেষ সতর্ক থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে। পরিষ্কার বলা হয়েছে, ‘যদি কোনও ব্যক্তি বা দলকে একটুও সন্দেহজনক বলে মনে হয় তাহলে একদমই তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন না। এবং সেই স্থান যত দ্রুত সম্ভব ত্যাগ করবেন।’
জাপানের প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে মন্তব্য করেন, “যদি তাইওয়ানে চীন হামলা চালায়, তাহলে জাপানের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে। সেক্ষেত্রে বাধ্যতই টোকিওকে মার্কিন সেনার সঙ্গে মিলে সামরিক পদক্ষেপ করতে হবে।
” বেইজিং তাঁর এহেন মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে বলে এমন মন্তব্যে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ক্ষতির মুখে পড়বে। এবং এর ফলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলাও সংকটে পড়বে। এরই পাশাপাশি জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি শুক্রবার সেদেশের অস্ত্রভাণ্ডারে পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিনকে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেছেন। অন্যদিকে মন্ত্রিপরিষদের সচিব মিনোরু কিহারা বলেছেন, এই প্রস্তাব উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। স্বাভাবিক ভাবেই এহেন মন্তব্যে আরও জোরালো হয়েছে সংঘাতের আবহ। বেইজিংয়ের সাফ কথা, তাইওয়ান নিয়ে নাক গলালে তার পরিণাম ভুগতে হবে জাপানকে।