এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:১১ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া জাপানের নাগরিকরা যারা ‘হিবাাকুশা’ নামে পরিচিত বলছেন, জাপানের জন্য পারমাণবিক অস্ত্র রাখা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তারা এই ধরনের অস্ত্রকে 'শয়তানের হাতিয়ার' বলে আখ্যা দিয়েছেন।
কিয়োডো নিউজ জানিয়েছে, জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী সানে তাকাইচি এবং তার মন্ত্রিসভা দেশটির দীর্ঘস্থায়ী তিনটি 'অ-পারমাণবিক নীতি' সংশোধন করতে চাইতে পারে বলে গুঞ্জন উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে দেশটিতে জনসাধারণের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত পারমাণবিক বোমা থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের সংগঠন 'নিহন হিডানকিও'র কমিটির সিনিয়র সদস্য তেরুমি তানাকা বলেন, "এটা অবিশ্বাস্যরকম গুরুতর। তারা কি সত্যিই শয়তানের হাতিয়ার দিয়ে আমাদের দেশকে রক্ষা করতে চায়?"
এই সংগঠনটি বারবার এমন ধারণার বিরোধিতা করে আসছে। তাদের মতে, এই বিষয়টি উত্থাপন করাও জাতির জন্য অগ্রহণযোগ্য, কারণ জাপান এখনও বিশ্বের একমাত্র যুদ্ধকালীন পারমাণবিক হামলার শিকার দেশ।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) জাপানের ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা নীতিগত নথিগুলো সংশোধন করার বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছে। এই আলোচনায় দেশের অ-পারমাণবিক অবস্থানের সম্ভাব্য পরিবর্তন, পাশাপাশি সামরিক ব্যয় বৃদ্ধির জন্য নতুন লক্ষ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এলডিপি'র নিরাপত্তা গবেষণা কাউন্সিল বিস্তৃত কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যে আছে:
নৌবাহিনীকে পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন দিয়ে সজ্জিত করা উচিত কি না, তা পরীক্ষা করা।
জাপানি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, তিনটি অ-পারমাণবিক নীতি আজ পর্যন্ত প্রতিটি জাপানি প্রধানমন্ত্রী সমর্থন করেছেন। বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিকভাবে 'অস্পৃশ্য' বলে বিবেচিত হয়ে আসছিল।
তবে নতুন প্রধানমন্ত্রী তাকাইচি এই নীতিগুলোর প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নন বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন। বিশেষ করে, তিনি কমপক্ষে মার্কিন পারমাণবিক অস্ত্র আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পক্ষে সমর্থন করতে চান।