এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:১২ পিএম

ইরানের বিচার বিভাগ ইসরায়েলি গুপ্তচরবৃত্তি নিয়ে চাঞ্চল্যকর নতুন তথ্য প্রকাশ করেছে। কারাজ শহরে আটক এক ইসরায়েলি গুপ্তচরের ভিলা থেকে উন্নত গুপ্তচরবৃত্তির সরঞ্জাম ও নজরদারি ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কর্তৃপক্ষ।
মেহের নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদন অনুযায়ী, কারাজের ইসলামি বিপ্লবী আদালতের দ্বিতীয় শাখায় এই গুপ্তচরের বিচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। আলবোর্জ প্রদেশের বিচার বিভাগের প্রধান হোসেন ফাজেলি হারিকান্দি জানান, আটক ব্যক্তি একজন ইরানি দ্বৈত নাগরিক, যিনি একটি ইউরোপীয় দেশে বসবাস করেন।
তিনি বলেন, গত ১২ দিনের যুদ্ধ চলাকালীন, চতুর্থ দিনে আলবোর্জের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) গোয়েন্দা শাখা তাকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করে।
ইউরোপে প্রশিক্ষণ ও মোসাদের সঙ্গে বৈঠক
ফাজেলি হারিকান্দি আরও বলেন, তদন্তের প্রমাণ থেকে জানা গেছে, এই ব্যক্তি ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ও দখলকৃত অঞ্চলে বিশেষ গুপ্তচরবৃত্তির প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
এর চেয়েও চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো, সন্দেহভাজন এই ব্যক্তি যুদ্ধ শুরু হওয়ার প্রায় এক মাস আগেই একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে গোপনে ইরানে প্রবেশ করেছিলেন, একটি গোপন মিশন পরিচালনার উদ্দেশ্যে। তার কারাজের ভিলায় অভিযান চালিয়ে গোয়েন্দারা উন্নত নজরদারি সরঞ্জাম, তথ্য সংগ্রহকারী ডিভাইসসহ নানা ধরনের স্পাই গিয়ার উদ্ধার করেন।
যুদ্ধের পটভূমি
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন, যখন ওয়াশিংটন ও তেহরান পারমাণবিক আলোচনায় ব্যস্ত ছিল, তখন ইসরায়েল হঠাৎ করেই ইরানের বিরুদ্ধে বিনা প্ররোচনায় আগ্রাসন শুরু করে। এর পরপরই ১২ দিনের এক ভয়াবহ যুদ্ধ শুরু হয়, যাতে সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও সাধারণ নাগরিকসহ কমপক্ষে ১,০৬৪ জন নিহত হন।
পরিস্থিতি আরও জটিল হয় যখন আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে বোমা হামলা চালিয়ে যুদ্ধে সরাসরি যোগ দেয়।
প্রতিবাদে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী দখলকৃত অঞ্চলজুড়ে নানা কৌশলগত স্থাপনায় হামলা চালায় এবং একই সঙ্গে পশ্চিম এশিয়ার বৃহত্তম মার্কিন ঘাঁটি কাতারের আল-উদেইদ বেসেও বড় আঘাত হানে। ইরানের দাবি, ২৪ জুনের মধ্যেই ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের ওপর সফল প্রতিশোধমূলক অভিযান পরিচালনা করে তারা আগ্রাসন থামাতে সক্ষম হয়।