এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:১২ পিএম

রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান পানির নিচের হুমকির জবাবে যুক্তরাজ্যের রয়্যাল নেভি নতুন অস্ত্র বের করেছে। স্কটল্যান্ডের পশ্চিম উপকূলে গভীর সমুদ্রে পরীক্ষা চালাতে নামানো হয়েছে ডানাওয়ালা ছোট্ট সাবমেরিন গ্লাইডার ‘এসজি-১ ফ্যাথম’। প্রায় অদৃশ্য হয়ে পানির নিচে ঘুরে বেড়াতে পারে এই যন্ত্র, আর এর একমাত্র কাজ—রুশ সাবমেরিন খুঁজে বের করা!
রয়্যাল নেভির ফ্যাথম প্রকল্পের ম্যানেজার কেটি রেইন বলেছেন, এই গ্লাইডার গভীর সমুদ্রে টহল দিয়ে শত্রুর শব্দ ও গতিবিধি ধরতে পারে। জার্মান কোম্পানি হেলসিং বানিয়েছে এটি। মাসের পর মাস একটানা চলতে পারে এবং বছরের পর বছর জমানো শব্দের ডেটা দিয়ে ট্রেনিং নেওয়া সফটওয়্যার দিয়ে নিজে নিজেই বিশ্লেষণ করে!
রেইন জানান, পরীক্ষায় সফল হলে এই ফ্যাথম যুক্ত হবে ব্রিটেনের নতুন ‘অ্যাটলান্টিক বাস্টিয়ন’ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায়। সেখানে থাকবে ড্রোন, যুদ্ধজাহাজ আর নজরদারি বিমান—সবাই মিলে সমুদ্রের নিচের গুরুত্বপূর্ণ কেবল আর পাইপলাইন পাহারা দেবে।
ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, মাত্র দু’বছরে রুশ সাবমেরিনের কার্যকলাপ ৩০ শতাংশ বেড়েছে—এটাই এই পদক্ষেপের মূল কারণ। রাশিয়া অবশ্য বলছে, এটা পশ্চিমারা উত্তেজনা ছড়াচ্ছে।
গত সেপ্টেম্বরে ব্রিটেনের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটি সতর্ক করেছিল, পানির নিচের কেবলগুলো এখনো ঝুঁকিতে। একবার কেটে গেলে অর্থনীতি থেকে যোগাযোগ—সবকিছুতে ধ্বস নামবে।
সম্প্রতি রুশ গবেষণা জাহাজ ইয়ান্তার ব্রিটিশ আকাশসীমার কাছে আরএএফ পাইলটদের দিকে লেজার ছুড়েছে—এই ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। প্রতিরক্ষা সচিব জন হিলি বলেছেন, “অত্যন্ত বিপজ্জনক।”
রয়্যাল নেভির প্রধান অ্যাডমিরাল স্যার গুইন জেনকিন্স বলেন, রাশিয়া সাবমেরিন বহরে বিশাল টাকা ঢালছে। “আমরা এখনো এগিয়ে আছি, কিন্তু ব্যবধান খুব দ্রুত কমছে।”
তবে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, জাহাজ কম থাকায় ব্রিটেন এখন ড্রোন আর গ্লাইডারের ওপর ভরসা করছে—এটা কিছুটা দুর্বলতা লুকানোর চেষ্টা।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, এসব করে আন্তর্জাতিক জলসীমায় অযথা উত্তেজনা বাড়ানো হচ্ছে।