ঢাকা, শুক্রবার, ডিসেম্বর ১২, ২০২৫ | ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
Logo
logo

ইরানের শাহেদ ড্রোন নকল করে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘হাঁটু গেড়ে বসা’ বলে উপহাস! ট্রাম্পের ‘ভয়’ ফাঁস হয়েছে – তেহরানের ধাক্কা!


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৩:১২ পিএম

ইরানের শাহেদ ড্রোন নকল করে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘হাঁটু গেড়ে বসা’ বলে উপহাস! ট্রাম্পের ‘ভয়’ ফাঁস হয়েছে – তেহরানের ধাক্কা!

ইরানের শাহেদ ড্রোন নকল করে নতুন ড্রোন তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে ওয়াশিংটনকে উপহাস করে তেহরান বলেছে, বিশ্বশক্তি হয়েও ইরানি ড্রোনের সামনে মাথা নত করতে বাধ্য হয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ।

ইরানের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র শাহেদ ড্রোন নকল করে আসলে নিজেদের পরাজয় স্বীকার করেছে। এছাড়া আইআরজিসির মুখপাত্র দাবি করেছেন, এমন পদক্ষেপ ট্রাম্প প্রশাসনের ইরানের প্রতি ভয়েরই বহিঃপ্রকাশ।

ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইল-যুক্তরাষ্ট্রের সংঘাতের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প থেকে শুরু করে মার্কিন প্রতিরক্ষাবিভাগ নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বড়াই করে আসছিল। তবে এবার যেন নিজেদের বক্তব্যের বিপরীতে গিয়েই ইরানের ড্রোনের মডেল নকল করার চেষ্টা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন সমর দফতর নিশ্চিত করেছে, এরই মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপের উপহাসমূলক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইরান। ইরানের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুলফাজল শেখারচি বলেন,
নিজেদের প্রযুক্তিগত সুপারপাওয়ার দাবি করা দেশগুলোকে ইরানি ড্রোনের সামনে হাঁটু গেড়ে বসে সেটিকে অনুকরণ করতে দেখার চেয়ে বড় গর্ব আর সম্মান কিছু হতে পারে না।
তিনি আরও দাবি করেন, তেহরানের ড্রোন নকল করার মধ্যদিয়ে ওয়াশিংটন নিজেদের পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে। শেখারচি আরও বলেন, রাশিয়া থেকে ইয়েমেন পর্যন্ত বহু মিত্রকেও ইরান এসব ড্রোন সরবরাহ করেছে।

আইআরজিসির মুখপাত্র আলি–মোহাম্মদ নাঈনি বলেন, শাহেদ ড্রোন একাধিক স্তরের আকাশ প্রতিরক্ষা ভেদ করে হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
তিনি দাবি করেন, ইরানের ক্রমোন্নত মিসাইল–ড্রোন সমন্বয় ক্ষমতার জন্যই ২২ দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সময়ও ইসরাইল বহু ক্ষেপণাস্ত্র আটকাতে ব্যর্থ হয়। এই সক্ষমতা নকল করার চেষ্টা আসলে মার্কিন উদ্বেগের বহিঃপ্রকাশ।

বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের শাহেদ ড্রোন এখন বৈশ্বিক সামরিক পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনছে। রাশিয়া এটি নিজেদের ‘গেরান-২’ নামে উৎপাদন করছে এবং ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করছে।
কম ব্যয়, কম শব্দ, ছোট রাডার সিগন্যাল ও ঝাঁকে ঝাঁকে আক্রমণের কৌশল মিলিয়ে এ ধরনের ড্রোন প্রতিপক্ষের আকাশ প্রতিরক্ষা দুর্বল করতে অত্যন্ত কার্যকরী প্রমাণিত হচ্ছে।