ঢাকা, মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ১৬, ২০২৫ | ১ পৌষ ১৪৩২
Logo
logo

ইরান হিজবুল্লাহর পাশে অটল, আর ইসরায়েল টিকবে না—ইউরোপীয় নেতার বিস্ফোরক মন্তব্য


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৬:১২ পিএম

ইরান হিজবুল্লাহর পাশে অটল, আর ইসরায়েল টিকবে না—ইউরোপীয় নেতার বিস্ফোরক মন্তব্য

ইরানের সর্বোচ্চ নেতার আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা আলি আকবর বেলায়াতি বলেছেন, লেবাননের হিজবুল্লাহ প্রতিরোধ ফ্রন্টের অগ্রভাগে থাকা একটি গুরুত্বপূর্ণ ও আত্মত্যাগী সংগঠন। তার ভাষায়, এই সংগঠন ইহুদিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মৌলিক ভূমিকা রেখে চলেছে।

রোববার ইরানের রাজধানী তেহরানে লেবাননের হিজবুল্লাহ প্রতিনিধি সাইয়্যেদ আবদুল্লাহ সাফিউদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন আলি আকবর বেলায়াতি। সেখানে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে বেলায়াতি জোর দিয়ে বলেন, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান এই আত্মত্যাগী সংগঠনের প্রতি তার দৃঢ় সমর্থন আগামীতেও অব্যাহত রাখবে।

এদিকে ইউরোপের নিরাপত্তা ইস্যুতে বড় মন্তব্য করেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। এক বৈঠকে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্ট করে দিয়েছেন—যুক্তরাষ্ট্র ধীরে ধীরে ইউরোপ থেকে সরে যেতে চায়। ফলে ইউরোপীয় দেশগুলোকেই নিজেদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিতে হবে। তার মতে, এটি একটি নতুন ইউরোপের পুনর্জাগরণের ইঙ্গিত।

মেলোনি আরও বলেন, প্রায় ৮০ বছর ধরে ইউরোপ তার নিরাপত্তা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করে এসেছে এবং ভেবেছে সেটি বিনামূল্যে। কিন্তু বাস্তবে এর মূল্য দিতে হয়েছে—অতিরিক্ত নির্ভরশীলতার মাধ্যমে। এখন ইউরোপকে নিজের স্বাধীনতার মূল্য নিজেকেই দিতে হবে।

এদিকে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধি রিমা হাসান ‘পারোল দ্য অনার’ নেটওয়ার্ককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক হওয়ার অভিজ্ঞতার কথা জানান। তিনি সম্প্রতি ‘ম্যাডেলিন’ জাহাজে করে গাজা অবরোধ ভাঙার প্রচেষ্টায় অংশ নিয়েছিলেন। ফিলিস্তিনি কেফিয়ে পরে উপস্থিত হয়ে তিনি বলেন, অধিকৃত ভূখণ্ডে শুনানির সময় বিচারক তাকে বলেছেন—“আপনি আগামী ১০০ বছর ইসরায়েলে প্রবেশ করতে পারবেন না।” এর জবাবে রিমা হাসান বলেন, “ইসরায়েলই ১০০ বছর টিকে থাকবে না।”

অন্যদিকে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও এসেছে বড় ঘোষণা। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির শর্তে ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগদানের চেষ্টা থেকে সরে আসতে প্রস্তুত। রুশ কর্মকর্তাদের দাবি, ন্যাটো সদস্যপদের প্রচেষ্টাই ছিল এই যুদ্ধ শুরুর অন্যতম প্রধান কারণ।

এদিকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নতুন উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মধ্যে তীব্র সীমান্ত সংঘর্ষে থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী ইসরায়েলি অস্ত্র ব্যবহার করছে বলে জানা গেছে। এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে এলবিট কোম্পানির আতামোস কামান, রাফায়েলের স্পাইক ক্ষেপণাস্ত্র এবং বারাক-এমএক্স আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।

একটি মন্দিরের মালিকানা ঘিরে দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধ আবারও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই সংঘাত ইতোমধ্যে পূর্ব এশিয়ার অন্যতম গুরুতর সংকটে পরিণত হয়েছে।