ঢাকা, মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ১৬, ২০২৫ | ১ পৌষ ১৪৩২
Logo
logo

বোমার মাঝেই ঝরল বৃষ্টি, গাজায় একদিনে ১০ মৃত্যু—ভয়াবহ স্বাস্থ্য বিপদের সতর্কতা ডব্লিউএইচওর


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৬:১২ পিএম

বোমার মাঝেই ঝরল বৃষ্টি, গাজায় একদিনে ১০ মৃত্যু—ভয়াবহ স্বাস্থ্য বিপদের সতর্কতা ডব্লিউএইচওর

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় টানা ভারি বৃষ্টিপাতে একদিনেই অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-এর মহাপরিচালক টেড্রোস আধানোম গেব্রেয়েসুসের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

গত শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় ডব্লিউএইচও প্রধান বলেন, খোলা আকাশের নিচে বসবাস, নিরাপদ পানির তীব্র সংকট, স্যানিটেশন ব্যবস্থার ভাঙন এবং অতিরিক্ত জনঘনত্ব—সব মিলিয়ে গাজায় মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়েছে। তার সতর্কবার্তায় বলা হয়, এসব কারণে তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিশেষ করে ইনফ্লুয়েঞ্জা, হেপাটাইটিস ও ডায়রিয়াজনিত রোগ ভয়াবহ আকার নিতে পারে।

টেড্রোস আরও জানান, গাজায় পরীক্ষাগার-সংক্রান্ত রাসায়নিক উপকরণ ও রোগ নির্ণয়ের যন্ত্রপাতি পাঠাতে এখনো বড় ধরনের বাধার মুখে পড়ছে ডব্লিউএইচও। প্রয়োজনীয় এই সামগ্রীগুলো সময়মতো পৌঁছাতে না পারায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।

তিনি অভিযোগ করেন, ইসরাইল অনেক জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জামকে ‘দ্বৈত ব্যবহারযোগ্য’ বা ডুয়াল-ইউজ পণ্য হিসেবে চিহ্নিত করে গাজায় প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে না। এতে চিকিৎসা সেবা কার্যত অচল হয়ে পড়ছে।

ডব্লিউএইচও প্রধান জরুরি ভিত্তিতে এসব অপরিহার্য চিকিৎসা সরঞ্জাম গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানান। তার ভাষায়, রোগের প্রাদুর্ভাব দ্রুত শনাক্ত করা, কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা এবং আক্রান্তদের জীবন বাঁচাতে এসব উপকরণ অত্যন্ত জরুরি।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় চলমান ইসরাইলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৭০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। একই সময়ে আহত হয়েছেন ১ লাখ ৭১ হাজারেরও বেশি মানুষ।

যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও সহিংসতা থামেনি। গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরাইলি বাহিনী একাধিকবার তা লঙ্ঘন করেছে। এসব হামলায় অন্তত ৩৮৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ হাজার ১৮ জন আহত হয়েছেন।