এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:১২ পিএম

সৌদি আরবের সীমান্তের কাছে অস্ত্রসজ্জিত প্রায় ২০ হাজার যোদ্ধা জড়ো হচ্ছে বলে খবর বেরিয়েছে। এরা ইয়েমেনে সংযুক্ত আরব আমিরাত-সমর্থিত সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের (এসটিসি) বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত মাসে এসটিসি ইয়েমেনের তেলসমৃদ্ধ হাদরামাউত প্রদেশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। এই অগ্রগতির মাধ্যমে তারা ইয়েমেনকে আবার উত্তর ও দক্ষিণ—দুটো আলাদা রাষ্ট্রে বিভক্ত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে এগোচ্ছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমর্থনপুষ্ট এসটিসিকে সৌদি আরব ইতোমধ্যে কড়া সতর্কবার্তা দিয়েছে। জানানো হয়েছে, প্রয়োজন হলে সৌদি বিমানবাহিনী সরাসরি তাদের অবস্থানে হামলা চালাতে পারে। একইসঙ্গে এসটিসিকে স্থলপথে রুখতে সৌদি সীমান্তবর্তী আল-ওয়াদিয়াহ ও আল-আবর এলাকায় ‘ন্যাশনাল শেল্ড’ নামে একটা সশস্ত্র গোষ্ঠী মোতায়েন করা হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে এসটিসিকে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ফলে সৌদি ও আমিরাত-সমর্থিত বাহিনীর মধ্যে সরাসরি সংঘাতের ঝুঁকি বেড়ে গেছে, যা ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।
ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলে হুতি বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে দীর্ঘদিনের লড়াইয়ে ইতোমধ্যে ভয়াবহ মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে। দক্ষিণে নতুন করে সংঘাত শুরু হলে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হয়ে উঠতে পারে। চলমান গৃহযুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
গত শুক্রবার এসটিসি আদেন অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এর পর সৌদি আরব তাদের ওই এলাকা ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিলেও এসটিসি তা মানতে অস্বীকার করে। সংগঠনটির যোদ্ধারা প্রথমে হাদরামাউতে প্রবেশ করে, পরে ওমান সীমান্তবর্তী মাহরা প্রদেশ এবং আবইয়ান প্রদেশেও নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করে।
এসটিসির এই দ্রুত উত্থান সৌদি আরবকে অবাক করে দিয়েছে। ইয়েমেনে দীর্ঘদিন ধরে প্রভাব বিস্তার করা রিয়াদ দেশটির বিভাজনের বিরোধী হলেও, এসটিসি দক্ষিণ ইয়েমেনকে আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে।