ঢাকা, শুক্রবার, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫ | ৫ পৌষ ১৪৩২
Logo
logo

ইউক্রেন যুদ্ধে বড় মোড়? রাশিয়ার জব্দ ২.৪৫ লক্ষ কোটি ডলার কি পাবে ইউক্রেন, সিদ্ধান্ত নেবে ইইউ


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:১২ পিএম

ইউক্রেন যুদ্ধে বড় মোড়? রাশিয়ার জব্দ ২.৪৫ লক্ষ কোটি ডলার কি পাবে ইউক্রেন, সিদ্ধান্ত নেবে ইইউ

ইউক্রেন যুদ্ধের মোড় ঘোরাতে এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের মুখোমুখি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। রাশিয়ার কাছ থেকে জব্দ করা বিপুল সম্পদ ইউক্রেনের জন্য সামরিক ও অর্থনৈতিক সাহায্য হিসেবে ঋণের আকারে ব্যবহার করা হবে কি না, সেই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে বৃহস্পতিবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে বৈঠকে বসছেন ইইউ নেতারা।

বর্তমানে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে রাশিয়ার প্রায় ২১ হাজার কোটি ইউরো (প্রায় ২৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলার) মূল্যের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে রাখা আছে। এই বিপুল অর্থের বড় একটি অংশ জমা রয়েছে বেলজিয়ামভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইউরোক্লিয়ারের কাছে। তবে বেলজিয়ামসহ কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে এই অর্থ ইউক্রেনের পক্ষে ব্যবহারের বিরোধিতা করে আসছে।

ইইউ কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানাচ্ছে, নতুন অর্থায়নের ব্যবস্থা না হলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ইউক্রেনের অর্থনীতি গভীর সংকটে পড়তে পারে। এ কারণেই আজকের শীর্ষ সম্মেলনকে চলমান যুদ্ধের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ইইউ'র এক সদস্য রাষ্ট্রের সরকারি এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, একটি সমঝোতার ব্যাপারে তারা 'সতর্কভাবে আশাবাদী', তবে এখনও সব দেশের মধ্যে পূর্ণ ঐকমত্য তৈরি হয়নি। অন্যদিকে রাশিয়া স্পষ্ট সতর্কবার্তা দিয়েছে—জব্দ করা তাদের সম্পদ ব্যবহারের যে কোন সিদ্ধান্তের মারাত্মক আইনি ও রাজনৈতিক পরিণতি হবে।

ইতোমধ্যে, ইউরোক্লিয়ারের বিরুদ্ধে রাশিয়া মস্কোর আদালতে মামলা করেছে নিজেদের সম্পদ ফেরত পাবার দাবিতে।

এমন সংকটময় মুহূর্তে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন ইউক্রেন যুদ্ধ একটি নতুন ও কঠিন পর্যায়ে পৌঁছেছে। ফলে সব নজর এখন বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী বার্ট ডি ওয়েভারের দিকে। বৃহস্পতিবার বেলজিয়ামের পার্লামেন্টে তিনি বলেন, "আমি এখনও এমন কোন নথি দেখিনি, যেটি বেলজিয়ামের বর্তমান অবস্থান পরিবর্তনের যৌক্তিকতা প্রমাণ করে।"

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রামপ দাবি করেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার জন্য একটি চুক্তির খুব কাছাকাছি পৌঁছেছে ওয়াশিংটন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার আক্রমণ শুরুর পর একাধিক শান্তি উদ্যোগ নেওয়া হলেও, সেগুলো ট্রাম্প প্রশাসনের সময়ে কার্যকর হয়নি।