ঢাকা, শুক্রবার, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫ | ৫ পৌষ ১৪৩২
Logo
logo

ভেনেজুয়েলার তেল আমেরিকার সম্পদ! ট্রাম্পের শীর্ষ সহযোগীর বিস্ফোরক মন্তব্যে তোলপাড়


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৪:১২ পিএম

ভেনেজুয়েলার তেল আমেরিকার সম্পদ! ট্রাম্পের শীর্ষ সহযোগীর বিস্ফোরক মন্তব্যে তোলপাড়

ভেনেজুয়েলার তেল যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ সহযোগী স্টিফেন মিলার। তিনি দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির তেল শিল্পের জাতীয়করণকে ‘চুরি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার মিলার এসব কথা বলেন।

হোয়াইট হাউসের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মিলারের এই মন্তব্য ট্রাম্প প্রশাসনের ভেনেজুয়েলা নীতি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। কারণ, আগের ঘোষণা অনুযায়ী, ভেনেজুয়েলার সঙ্গে উত্তেজনার মূল কারণ ছিল মাদক পাচার।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টে মিলার লিখেছেন, “ভেনেজুয়েলার তেল শিল্প গড়ে উঠেছে আমেরিকানদের ঘাম, উদ্ভাবনী শক্তি ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে। এই স্বৈরাচারী দখলদারি ইতিহাসে নথিভুক্ত সবচেয়ে বড় চুরি। পরে এই লুণ্ঠিত সম্পদ ব্যবহার করা হয়েছে সন্ত্রাসে অর্থ যোগাতে এবং খুনি, ভাড়াটে যোদ্ধা ও মাদক দিয়ে আমাদের সড়কগুলো প্লাবিত করতে।”

তবে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, ‘প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর স্থায়ী সার্বভৌমত্ব’ নীতির আওতায় ভেনেজুয়েলার তেল ওই দেশেরই সম্পদ।
ভেনেজুয়েলায় তেলের প্রাথমিক অনুসন্ধান পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কোম্পানিগুলো যুক্ত ছিল। ১৯৭৬ সালে দেশটি তেল খাত জাতীয়করণ করে এবং নিয়ন্ত্রণ দেয় রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পিডিভিএসএর হাতে। ২০০৭ সালে প্রয়াত প্রেসিডেন্ট হুগো চাভেজ বিদেশি তেল প্রকল্পগুলোও জাতীয়করণ করেন, ফলে কনোকোফিলিপস ও এক্সন মোবিলের মতো মার্কিন জায়ান্টদের কার্যত দেশটি ছেড়ে যেতে হয়।

"ভেনেজুয়েলার তেল আমেরিকার সম্পদ! ট্রাম্পের সহযোগীর বিস্ফোরক মন্তব্যে তোলপাড়"
ভেনেজুয়েলার তেল যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ সহযোগী স্টিফেন মিলার। তিনি দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির তেল শিল্পের জাতীয়করণকে ‘চুরি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার মিলার এসব কথা বলেন।

হোয়াইট হাউসের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মিলারের এই মন্তব্য ট্রাম্প প্রশাসনের ভেনেজুয়েলা নীতি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। কারণ, আগের ঘোষণা অনুযায়ী, ভেনেজুয়েলার সঙ্গে উত্তেজনার মূল কারণ ছিল মাদক পাচার।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টে মিলার লিখেছেন, “ভেনেজুয়েলার তেল শিল্প গড়ে উঠেছে আমেরিকানদের ঘাম, উদ্ভাবনী শক্তি ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে। এই স্বৈরাচারী দখলদারি ইতিহাসে নথিভুক্ত সবচেয়ে বড় চুরি। পরে এই লুণ্ঠিত সম্পদ ব্যবহার করা হয়েছে সন্ত্রাসে অর্থ যোগাতে এবং খুনি, ভাড়াটে যোদ্ধা ও মাদক দিয়ে আমাদের সড়কগুলো প্লাবিত করতে।”

তবে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, ‘প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর স্থায়ী সার্বভৌমত্ব’ নীতির আওতায় ভেনেজুয়েলার তেল ওই দেশেরই সম্পদ।
ভেনেজুয়েলায় তেলের প্রাথমিক অনুসন্ধান পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কোম্পানিগুলো যুক্ত ছিল। ১৯৭৬ সালে দেশটি তেল খাত জাতীয়করণ করে এবং নিয়ন্ত্রণ দেয় রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পিডিভিএসএর হাতে। ২০০৭ সালে প্রয়াত প্রেসিডেন্ট হুগো চাভেজ বিদেশি তেল প্রকল্পগুলোও জাতীয়করণ করেন, ফলে কনোকোফিলিপস ও এক্সন মোবিলের মতো মার্কিন জায়ান্টদের কার্যত দেশটি ছেড়ে যেতে হয়।