এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৫:১২ পিএম

কম্বোডিয়ার প্রিয়াহ ভিহিয়ার প্রদেশে নতুন করে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার ১৮ ডিসেম্বর এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ফ্রেশ নিউজ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে থাই যুদ্ধবিমানগুলো নম কমোচ ও পিক স্বিক এলাকায় বোমাবর্ষণ করে। সংঘাত শুরুর ১২ দিনের মাথায় এখন পর্যন্ত দুই পক্ষ মিলিয়ে অন্তত ৫৫ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও জাতীয় মর্যাদা রক্ষায় তাদের সেনারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। অন্যদিকে রয়্যাল থাই আর্মি দাবি করেছে, ৭ ডিসেম্বর সংঘাত নতুন করে শুরুর পর তারা ক্যাসিনো, হোটেল ও আন্তর্জাতিক জালিয়াতি নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত ছয়টিরও বেশি ভবন ধ্বংস করেছে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সীমান্ত সংঘর্ষে থাইল্যান্ড বিষাক্ত গ্যাস ব্যবহার করেছে—এমন অভিযোগ তুলেছে কম্বোডিয়া। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক কম্বোডিয়ান সেনা কুন ইয়ং জানান, থাই বিমান থেকে হামলার পর তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সীমান্ত এলাকা ছেড়ে সরে যেতে বাধ্য হন তিনি। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কুন ইয়ং বলেন, “মনে হচ্ছিল দম বন্ধ হয়ে আসছে।”
ডিসেম্বরের শুরু থেকেই থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্তে টানা সংঘর্ষ চলছে। এই লড়াইয়ে দুই দেশ মিলিয়ে ৪০ জনের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। কয়েক দশকের মধ্যে এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র সংঘাত বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে কম্বোডিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বান্টি মিঞ্চি প্রদেশে কিছু সেনা ও পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে অভিযোগ করেছেন, থাই বিমান থেকে বিষাক্ত পানি ছোড়া হয়েছে। প্রতিদিনই কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করছে, থাই সেনাবাহিনী সীমান্তে বিষাক্ত গ্যাস ব্যবহার করছে।
তবে থাইল্যান্ড এসব অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে। দেশটি একে ‘ভুয়া খবর’ বলে দাবি করেছে। রয়টার্সকে থাই বিমানবাহিনীর মুখপাত্র এয়ার মার্শাল জ্যাকরিত থাম্মভিচাই বলেছেন, থাইল্যান্ড কখনোই রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেনি।