এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৬:১২ পিএম

আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৬ এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল ঘোষণা করে বড় চমক দিয়েছেন ভারতীয় নির্বাচকরা। সেই ঘোষণার সবচেয়ে আলোচিত নাম—ঈশান কিশানের প্রত্যাবর্তন।
দুই বছরেরও বেশি সময় পর ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে ফিরলেন ঈশান কিশান। অন্যদিকে ১৫ সদস্যের বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন শুভমান গিল ও জিতেশ শর্মা। গিলের সাম্প্রতিক হতাশাজনক পারফরম্যান্সই শেষ পর্যন্ত তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়।
ঈশানের ফর্মে ভরসা, গিলের জন্য দরজা বন্ধ
২০২৫ সালে শুভমান গিল ১৫ ইনিংসে করেন ২৯১ রান। গড় ছিল মাত্র ২৪, স্ট্রাইক রেট ১৩৭। এত সুযোগ পাওয়ার পরও একটি ফিফটিও না পাওয়ায় নির্বাচকদের ধৈর্য শেষ হয়। শেষ পর্যন্ত ভালো ফর্মে থাকা ক্রিকেটারদের দিকেই ঝুঁকেন তারা।
অন্যদিকে ঈশান কিশান নিজের ব্যাটেই জবাব দিয়েছেন। আক্রমণাত্মক এই বাঁহাতি ব্যাটার দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন পুরো ঘরোয়া মৌসুমজুড়ে। তার নেতৃত্বেই ঝাড়খণ্ড প্রথমবারের মতো জেতে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি। ফাইনালে তার বিধ্বংসী সেঞ্চুরি দলকে এনে দেয় ঐতিহাসিক শিরোপা।
২০২৬ সালের সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে ঈশান সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন—৫৭১ রান। ঘরোয়া ক্রিকেটে এমন দাপুটে পারফরম্যান্স আর আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা মিলিয়ে নির্বাচকদের মন জয় করে নেন তিনি। ওপেনিং করতে পারেন এমন একজন উইকেটকিপার হওয়াটাও ঈশানের পক্ষে বড় প্লাস পয়েন্ট।
“ভীষণ খুশি লাগছে”—ফিরে আবেগপ্রবণ ঈশান
সঞ্জু স্যামসন থাকছেন ভারতের প্রথম পছন্দের উইকেটকিপার হিসেবেই। তবে ঈশান কিশানকে নেওয়া হয়েছে দ্বিতীয় কিপার হিসেবে—বিশ্বকাপ ও নিউজিল্যান্ড সিরিজ দুই ক্ষেত্রেই।
২০২৩ সালে গুয়াহাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষবার টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন ঈশান। সেই হিসেবে দুই বছর পর দলে ফেরা, আর সামনে প্রথম বিশ্বকাপ—সব মিলিয়ে ২৬ বছরের এই ক্রিকেটারের আবেগ চেপে রাখা কঠিন।
এএনআইকে ঈশান বলেন,
“খবরটা শুনে আমি ভীষণ খুশি। সত্যি বলতে খুব ভালো লাগছে।”
কেন গিল নয়, কেন ঈশান—ব্যাখ্যা দিলেন অজিত আগরকর
ভারতীয় দলের প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকর আগেই জানিয়েছেন, ঈশান কিশানকে বেছে নেওয়ার মূল কারণ তার দুর্দান্ত ফর্ম।
বিসিসিআই সদর দপ্তরে তিনি বলেন,
“ও সাদা বলের ক্রিকেটে ওপেনিং করে, আর ওর ফর্ম খুব ভালো। আগেও ভারতের হয়ে খেলেছে। আগে ধ্রুব জুরেল আর ঋষভ পান্ত থাকায় ও সুযোগ পায়নি। ওপেনিং করতে পারে এমন একজন উইকেটকিপার থাকলে দল আরও ব্যালান্সড হয়।”
সব মিলিয়ে বলা যায়, কঠোর পরিশ্রম আর ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে নিজের জায়গা আবারও পাকা করে নিলেন ঈশান কিশান।