ঢাকা, রবিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৫ | ৬ পৌষ ১৪৩২
Logo
logo

"কক্সবাজারের নাম পাল্টাব!" উত্তপ্ত আগরতলা, ভারত দখলের হুমকিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনে বিক্ষোভ


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৬:১২ পিএম

"কক্সবাজারের নাম পাল্টাব!" উত্তপ্ত আগরতলা, ভারত দখলের হুমকিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনে বিক্ষোভ

ভারতের 'সেভেন সিস্টার্স' বিচ্ছিন্ন করার হুমকির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদে ফুঁসছে আগরতলা। শুক্রবার বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনারের অফিসের সামনে টিপরা মোথা পার্টির যুব শাখা ইয়ুথ টিপরা ফেডারেশন (ওয়াইটিএফ) বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। সংগঠনের কয়েকশত সদস্য হাইকমিশনের কাছে জড়ো হয়ে মিছিল করতে গেলে পুলিশ তাদের বাধার মুখে ফেলে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে পুলিশ হাইকমিশন কার্যালয় থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে ব্যারিকেড স্থাপন করে। সেখানেই অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন ওয়াইটিএফ নেতাকর্মীরা।

বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সমালোচনামূলক স্লোগান দেন এবং সেভেন সিস্টার্স নিয়ে তার দেওয়া বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানান। সমাবেশে ওয়াইটিএফ সভাপতি সুরজ দেববর্মা দাবি করেন, এই বিক্ষোভ কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডার অংশ নয়, বরং সাধারণ মানুষের অনুভূতির প্রতিফলন।

তিনি অভিযোগ তোলেন, বাংলাদেশের জাতীয় পার্টির (এনসিপি) নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ ভারতীয় হাইকমিশনের কাছে বক্তব্য দেওয়ার সময় হাইকমিশনকে লক্ষ্যবস্তু করার হুমকি দিয়েছিলেন। দেববর্মা বলেন, "বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের সামনে দাঁড়িয়ে আমরা তাদের মনে করিয়ে দিতে চাই, বাংলাদেশ কীভাবে তৈরি হয়েছিল।"

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দেববর্মা বলেন, সীমান্তের ওপার থেকে আসা সাম্প্রতিক বক্তব্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তার অভিযোগ, বাংলাদেশের কয়েকজন নেতা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল দখলের কথা বলে চলেছেন, যা সম্পূর্ণ দায়িত্বজ্ঞানহীন ও বিপজ্জনক। তিনি বলেন, "তারা দাবি করছে, তারা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল দখল করবে। বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ভারতের অবদান থাকা সত্ত্বেও আজ তারা আমাদের সঙ্গে শত্রুর মতো আচরণ করছে।"

বিতর্ককে আরও উস্কে দিয়ে দেববর্মা বলেন, উত্তর-পূর্ব ভারতে কোনো সমুদ্রসৈকত নেই এবং নিকটতম সমুদ্রসৈকত হলো কক্সবাজার। তার হুঁশিয়ারি, "যদি তারা আমাদের বাধ্য করে, আমরা এর নাম পরিবর্তন করে 'গ্রেটার ত্রিপরাল্যান্ড সমুদ্রসৈকত' রাখব।"

সুরজ দেববর্মা আরও সতর্ক করে বলেন, ভারত সরকার যদি পরিস্থিতি সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে জনগণ নিজেদের ভূমি রক্ষার জন্য সরকারের কাছ থেকে অনুমতি চাইবে। "ভারতের দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে আমরা আমাদের জমি রক্ষা করতে প্রস্তুত। আমরা চুপ করে থাকব না," যোগ করেন তিনি। একই সঙ্গে তার দাবি, আসন্ন বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনের আগে দেশটি বড় ধরনের সহিংসতার সাক্ষী হতে পারে।