এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০১:১২ পিএম

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (BCB) সম্প্রতি সৌদি আরবের একটি চরম আগ্রহপূর্ণ প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে। সৌদি আরব চেয়েছিল তাদের ‘ভিশন ২০৩০’ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ থেকে খেলোয়াড় এবং কোচ নেওয়ার, যারা পরবর্তীতে সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর সৌদি আরবের জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেত। তবে BCB এ প্রস্তাবকে স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে, ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সৌদি আরব দ্রুত ফুটবলের জগতে নিজেদের পরিচিতি তৈরি করেছে। তারা আন্তর্জাতিক কিংবদন্তিদের লিগে নিয়ে এসেছে এবং ২০২২ সালের FIFA বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে ফুটবলে আন্তর্জাতিক প্রভাব ফেলেছে। এই সাফল্য থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এখন তারা ক্রিকেটেও বড় আকারে পদক্ষেপ নিতে চায়।
সৌদি আরব আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রবেশের চেষ্টা
‘ভিশন ২০৩০’ পরিকল্পনার অধীনে সৌদি আরবের ক্রিকেট দল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রবেশ করতে প্রস্তুত এবং বিনিয়োগে কোনো সীমা রাখে না। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তারা বিদেশি খেলোয়াড় এবং কোচদের সৌদি আরবে নিয়ে আসার জন্য BCB-কে প্রস্তাব দেয়।
ক্রিকবাজের তথ্য অনুযায়ী, সৌদি আরব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মডেল অনুসরণ করতে চায়। এতে বিদেশি খেলোয়াড়রা প্রথমে সৌদি আরবে ঘরোয়া লিগে খেলবে এবং পরবর্তীতে নাগরিকত্ব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দেশটির জাতীয় দলের হয়ে খেলবে। বাংলাদেশ তাদের কাছে প্রস্তাব দেওয়া প্রথম কয়েকটি দেশের মধ্যে ছিল।
BCB স্পষ্টভাবে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান
BCB প্রেসিডেন্ট আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, সৌদি আরবের প্রস্তাব দুই মাস আগে এসেছে। প্রস্তাবে কেবল পুরুষ খেলোয়াড় নয়, নারী খেলোয়াড় এবং কোচের জন্যও অনুরোধ করা হয়েছিল।
তিনি ক্রিকবাজকে বলেন, “প্রায় দুই মাস আগে তারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। আমি স্পষ্টভাবে ‘না’ বলেছি। তারা খেলোয়াড় চেয়েছিল—পুরুষ ও নারী উভয়—এবং তারপর কোচ চেয়েছিল। কিন্তু আমি কীভাবে আমার দেশের স্বার্থের বিপরীতে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারি?”
সৌদি আরবের বিশ্ব খেলাধুলায় আগ্রহ
আর্থিকভাবে শক্তিশালী দেশ হিসেবে সৌদি আরব আন্তর্জাতিক খেলাধুলায় বড় বিনিয়োগ করছে। LIV গলফ, ফর্মুলা ১ এবং ২০৩৪ সালের FIFA বিশ্বকাপেও তারা উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ করেছে। ক্রিকেট বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হওয়ায় তারা এই খেলার দিকে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে।
সৌদি আরব ক্রিকেট ফেডারেশনকে ICC এবং এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের পক্ষ থেকেও কিছু সমর্থন পাওয়া গেছে। উভয় সংস্থা খেলাটি গালফ অঞ্চলে প্রতিষ্ঠা করতে আগ্রহী।