এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০২:১২ পিএম

ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলো চেষ্টা করলেও গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলা থামছে না। তবু যুক্তরাষ্ট্র, মিশর, কাতার ও তুরস্কের মতো মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো দুই পক্ষকে তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সংযম ও দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামি শহরে আলোচনার পর এই বার্তা দেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফ।
উইটকফ এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ২০-দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি। সকল পক্ষকে তাদের বাধ্যবাধকতা পালন, সংযম দেখানো এবং পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থায় সহযোগিতা করার আহ্বান জানাই।”
গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কাগজে কলমে কার্যকর হলেও গাজায় ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত। প্রায় প্রতিদিনই বিমান ও স্থল হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বনি সুহেইলা এলাকায় একাধিক বিমান হামলায় বেশ কয়েকজন হতাহত হন।
একই দিনে গাজা সিটির তুফ্ফাহ এলাকায় একটি আশ্রয়কেন্দ্রে হামলায় নারী ও শিশুসহ অনেক মানুষ নিহত হন। হামলার কারণে এবং চলাচলে বিধিনিষেধ থাকায় উদ্ধারকারীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেননি। ইসরায়েলি পক্ষ দাবি করেছে, এই হামলা চলাকালীন সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে অভিযান চালানো হয়েছে।
এদিকে, গাজায় হামলার মধ্যেই মায়ামিতে বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, মিশর, কাতার ও তুরস্কের প্রতিনিধি। বৈঠকে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের অগ্রগতি মূল্যায়ন করা হয়। মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি, মরদেহ হস্তান্তর, আংশিক সেনা প্রত্যাহার এবং সহিংসতা কমানোকে প্রথম ধাপের অগ্রগতি হিসেবে দেখানো হয়।
বৈঠকে দ্বিতীয় ধাপের জন্য গাজায় স্বায়ত্তশাসিত প্রশাসন গঠন, বেসরকারি ও নিরাপত্তা কাজ পরিচালনার পরিকল্পনা এবং অবকাঠামো ও বাণিজ্যসহ পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস বলেন, গাজার পরিস্থিতি এখনো বিপজ্জনক। ১৬ লাখ মানুষ তীব্র খাদ্যসংকট ও অপুষ্টির ঝুঁকিতে। কিছু এলাকায় পরিষ্কার পানি পৌঁছেছে, স্বাস্থ্য কেন্দ্র পুনরায় খোলা হয়েছে। তবে শীত ও বৃষ্টির কারণে শিশুদের ঝুঁকি আরও বেড়েছে।