ঢাকা, বুধবার, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৫ | ৯ পৌষ ১৪৩২
Logo
logo

মার্কিন অবরোধেও শক্ত ভেনেজুয়েলা! ট্রাম্পের হুমকি উপেক্ষা করে চীন-রাশিয়ার কাঁধে কাঁধ


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৯:১২ পিএম

মার্কিন অবরোধেও শক্ত ভেনেজুয়েলা! ট্রাম্পের হুমকি উপেক্ষা করে চীন-রাশিয়ার কাঁধে কাঁধ

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মুখেও দমে যাননি ভেনেজুয়েলা। দেশটির তেলবাহী জাহাজগুলো অবরোধের হুমকি দেওয়া হলেও এবার স্পষ্টভাবেই তাদের পাশে দাঁড়ালো দুই পরাশক্তি চীন ও রাশিয়া। অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ওপর চাপ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

সম্প্রতি সপ্তাহগুলোতে ভেনেজুয়েলার উপকূল থেকে যুক্তরাষ্ট্র যে তেল জব্দ করেছে, তা নিজেদের কাছে রাখা বা বিক্রির কথা আবারও জানিয়েছেন ট্রাম্প। মাদুরোকে ক্ষমতা থেকে সরানোর কোনো লক্ষ্য আছে কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমার মনে হয়, সেটাই তার জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে। যদি সে শক্ত অবস্থান নেয়, তাহলে সেটাই হবে শেষবার যখন সে শক্ত হতে পারবে।”

গত সপ্তাহে ভেনেজুয়েলায় ঢোকা ও সেখান থেকে বের হওয়া সব নিষেধাজ্ঞাভুক্ত তেলবাহী ট্যাংকারের ওপর অবরোধ ঘোষণা করেন ট্রাম্প। এর প্রভাবে দেশটির বন্দরগুলোতে তেল তোলার গতি অনেকটা কমে গেছে। রয়টার্সের তথ্য বলছে, এখন বেশিরভাগ জাহাজ শুধুমাত্র দেশীয় বন্দরগুলোর মধ্যেই তেল পরিবহন করছে। সাম্প্রতিক দিনে লোড করা কিন্তু বন্দর ছাড়তে না পারা ট্যাংকারের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায়, কয়েক মিলিয়ন ব্যারেল তেল জাহাজেই আটকে আছে।

চীন-রাশিয়ার কড়া জবাব
এই পরিস্থিতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার কড়া ভাষায় জানিয়েছে, অন্য দেশের জাহাজ জব্দ করা আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন। শনিবার ভেনেজুয়েলার উপকূলে যুক্তরাষ্ট্র চীনগামী একটি তেলবাহী ট্যাংকার আটক করার পরেই এই বক্তব্য আসে। হোয়াইট হাউসের দাবি, আটক করা জাহাজটি ভেনেজুয়েলার ‘শ্যাডো ফ্লিট’-এর অংশ এবং এতে নিষেধাজ্ঞাভুক্ত তেল বহন করা হচ্ছিল।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, “ভেনেজুয়েলার অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের অধিকার আছে। চীন সব ধরনের একতরফা ও অবৈধ নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করে।” উল্লেখ্য, চীন ভেনেজুয়েলার অপরিশোধিত তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা; দেশটির মোট তেল আমদানির প্রায় ৪ শতাংশই আসে ভেনেজুয়েলা থেকে।

একই দিনে রাশিয়া ও ভেনেজুয়েলার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছেন। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভান গিল ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ক্যারিবীয় সাগরে ওয়াশিংটনের কর্মকাণ্ডের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাশিয়া ভেনেজুয়েলার নেতৃত্ব ও জনগণের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ও সংহতি পুনর্ব্যক্ত করছে।”