এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৯:১২ পিএম

ধীরে ধীরে পুরো ফিলিস্তিনকে নিজেদের মানচিত্রে যুক্ত করে নিচ্ছে ইসরায়েল—এমন অভিযোগ আরও জোরালো হচ্ছে। গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও তেল আবিবের আগ্রাসন থামেনি। বিশেষ করে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের দখল ও বসতি সম্প্রসারণ দিন দিন বাড়ছে। সম্প্রতি ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা পশ্চিম তীরে নতুন করে ১৯টি বসতি স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে, যা স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের পথে বড় বাধা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এর আগের সপ্তাহে আরেক ঘটনায় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ পূর্ব জেরুজালেমের সিলওয়ান এলাকায় ১৩টি ফ্ল্যাটসহ একটি ভবন গুঁড়িয়ে দেয়। এতে প্রায় ১০০ ফিলিস্তিনি এক রাতের মধ্যে গৃহহীন হয়ে পড়েন।
জাতিসংঘের তথ্য বলছে, ২০১৭ সালের পর থেকে ইসরায়েলের বসতি সম্প্রসারণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকারের সময়ে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে বসতি ও আউটপোস্টের সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে।
দখলদারদের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে নাবলুস, রামাল্লা, সালফিত, বেথলেহেম ও জেরিকো শহরে। এর ফলে প্রায় ৩০ লাখ ফিলিস্তিনির স্বাভাবিক জীবন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, নতুন বসতি অনুমোদনের সিদ্ধান্ত শুধু মধ্যপ্রাচ্যের শান্তিকেই প্রশ্নের মুখে ফেলছে না, বরং স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনাকেও আরও অনিশ্চিত করে তুলছে।
তেল আবিব শুধু বসতি নিয়ন্ত্রণেই সীমাবদ্ধ নেই। হামলা ও আগ্রাসন নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। গাজায় অভিযান চলার সময়ও পশ্চিম তীরে ধরপাকড় ও হত্যাকাণ্ড চলেছে, আর যুদ্ধবিরতির পর এসব হামলার মাত্রা আরও বেড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।