এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৯:১২ পিএম

ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ স্পষ্ট জানিয়েছেন, গাজা উপত্যকা থেকে তার দেশ কখনোই পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহার করবে না। এছাড়া গাজায় নতুন একটি সামরিক ঘাঁটি তৈরির পরিকল্পনার কথাও তিনি জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর এক অনুষ্ঠানে কাটজ ইঙ্গিত দেন, যে গাজার উত্তরাঞ্চলে ভবিষ্যতে একটি সামরিক–কৃষিভিত্তিক ঘাঁটি স্থাপন করতে চায় ইসরাইল। বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘোষণা ইসরাইলের দীর্ঘমেয়াদি উপস্থিতির স্পষ্ট বার্তা বহন করছে।
ওই অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, অধিকৃত পশ্চিম তীরের বেইত এল বসতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বেনিয়ামিন ব্রিগেডের সদর দপ্তর স্থানান্তরের চুক্তি সই হয়েছে। পাশাপাশি সেখানে ১,২০০টি নতুন বসতি নির্মাণের ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বেশিরভাগ দেশ আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বসতিগুলোকে অবৈধ মনে করে। তবে এসব আপত্তি উপেক্ষা করেই বসতি সম্প্রসারণ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল সরকার।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাটজ বলেন, “আমরা সঠিকভাবে, সঠিক সময়ে এগোচ্ছি। কেউ কেউ প্রতিবাদ করছে, কিন্তু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আমাদের হাতে। এই সরকার সম্পৃক্ততা ও নিয়ন্ত্রণে বিশ্বাস করে। যদি সার্বভৌমত্ব প্রয়োগ সম্ভব হয়, আমরা তা প্রয়োগ করব। আমরা এখন কার্যকর সার্বভৌমত্বের একটি পর্যায়ে রয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, “৭ অক্টোবরের ভয়াবহ ঘটনার পর ইসরাইল যে শক্ত অবস্থান নিয়েছে, তার ফলে এমন সুযোগ তৈরি হয়েছে, যা দীর্ঘদিন ধরে ছিল না।”
বিশ্লেষকদের মতে, গাজা থেকে স্থায়ীভাবে সেনা প্রত্যাহার না করার ঘোষণা এবং নতুন সামরিক–কৃষিভিত্তিক ঘাঁটি স্থাপনের পরিকল্পনা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়াতে পারে। একই সঙ্গে এতে ভবিষ্যতে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনাও আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।