এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৩:১২ পিএম

ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) ইউ১৯ এশিয়া কাপ ২০২৫-এ পাকিস্তানের কাছে হারের পর যুব উন্নয়ন ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভিভিএস লক্ষ্মণ, টিম ম্যানেজমেন্ট, সিলেক্টর ও সেন্টার অব এক্সিলেন্সকে একসঙ্গে এনে খেলোয়াড় উন্নয়ন আরও মজবুত করার চিন্তা করছে বোর্ড।
পাকিস্তান সামির মিনহাসের সেঞ্চুরির সুবাদে ৩৪৭/৮ তোলে। জবাবে ভারত শুরু থেকেই পাকিস্তানি পেসারদের চাপে পড়ে যায়। আলি রাজা চার উইকেট নেন, মোহাম্মদ সায়্যাম ও আব্দুল সুবহানও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ভারত মাত্র ২৬.২ ওভারে ১৫৬ রানে অলআউট হয়ে যায়।
ইউ১৯ এশিয়া কাপের ধাক্কায় বিসিসিআইয়ের চাপ বাড়ল লক্ষ্মণের ওপর
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবর অনুযায়ী, গত চার বছরে যুব খেলোয়াড়দের উন্নয়ন নিয়ে বিসিসিআইয়ের উদ্বেগ বেড়েছে। বোর্ড এখন টিম ম্যানেজমেন্ট, সিলেক্টর ও সেন্টার অব এক্সিলেন্সের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর উপায় খুঁজছে।
খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকা নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি রয়েছে, বিশেষ করে কোচ ও সিলেক্টরদের মধ্যে। ভিভিএস লক্ষ্মণ সম্প্রতি সেন্টার অব এক্সিলেন্সের ক্রিকেট হেড হিসেবে দু'বছরের এক্সটেনশন পেয়েছেন এবং ইউ১৯ দলের সিলেকশন ও অধিনায়ক নিয়োগে তার বড় প্রভাব রয়েছে।
“ভূমিকা নির্ধারণে কিছু বিভ্রান্তি আছে। লক্ষ্মণ ইউ১৯ দল নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ায় পুরোপুরি দায়িত্বে। অধিনায়ক নিয়োগেও তার বড় কথা। রাহুল দ্রাবিড় যখন ক্রিকেট হেড ছিলেন, তিনি ইন্ডিয়া ‘এ’ খেলোয়াড়দের সিলেকশনে সক্রিয় ছিলেন কারণ প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জন্য প্রোগ্রাম তৈরি করতেন। এখন লক্ষ্মণের ইন্ডিয়া ‘এ’ প্রক্রিয়ায় খুব একটা কথা নেই,” বলেন এক বিসিসিআই সূত্র।
পাকিস্তানের কাছে বড় হারই ট্রিগার
শুধু ইউ১৯ এশিয়া কাপে পাকিস্তানের কাছে বড় হার নয়, রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপেও ইন্ডিয়া এ দল ফাইনালে উঠতে পারেনি। এই ফলাফলগুলো ভারতের খেলোয়াড় উন্নয়ন ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, টিম অফিসিয়ালরা মনে করছেন অনেক তরুণ খেলোয়াড় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চাহিদার জন্য প্রস্তুত নয়। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকে সিনিয়র লেভেলে সহজে যাওয়া খেলোয়াড় খুব কম, যা ম্যানেজমেন্টকে চিন্তায় ফেলেছে।
সেন্টার অব এক্সিলেন্স সম্প্রতি পুরোদমে চালু হয়েছে এবং ভিভিএস লক্ষ্মণ এখন প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত। একই সঙ্গে কোচিং স্টাফে বড় পরিবর্তন চলছে। ফাস্ট বোলিং কোচ ট্রয় কুলির ওপর চাপ বেড়েছে, কারণ তরুণ পেসারদের স্পষ্ট উন্নতি দেখা যাচ্ছে না।
কেন বিসিসিআইয়ের নজরে ভিভিএস লক্ষ্মণ?
খবরে আরও বলা হয়েছে, রাহুল দ্রাবিড়ের মতো লক্ষ্মণ উন্নয়নমূলক দলের সঙ্গে খুব একটা ট্যুর করেন না। লক্ষ্মণের অধিকাংশ বিদেশি অ্যাসাইনমেন্ট সেকেন্ড-স্ট্রিং ইন্ডিয়ান দলের সঙ্গে, যখন মেইন টিম টেস্ট সিরিজে ব্যস্ত থাকে।
“লক্ষ্মণের অধিকাংশ বিদেশি ট্যুর সেকেন্ড-স্ট্রিং দলের সঙ্গে, মেইন টিম টেস্টে থাকলে। দেখা দরকার তিনি উন্নয়নমূলক দলের সঙ্গে আরও বেশি ট্যুর করতে পারেন কি না,” বলেন সূত্র।
খবরে রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপে একটা অস্বাভাবিক সিদ্ধান্তের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। সিনিয়র সিলেকশন কমিটির অনুরোধে জিতেশ শর্মা অধিনায়ক হয়ে টুর্নামেন্টে যান।
তিনি টিম কম্বিনেশন ও ম্যাচ স্ট্র্যাটেজি নির্ধারণে বড় ভূমিকা পালন করেন, যা উন্নয়নমূলক দলের জন্য সাধারণ নয়। সাধারণত কোচিং স্টাফ সিলেক্টরদের সঙ্গে আলোচনা করে এসব সিদ্ধান্ত নেন।