এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৭:১২ পিএম

রাজনীতিতে আবারও চমক! আগামী মার্চ-এপ্রিলে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের মুখোমুখি। সেই ভোটের মাত্র চার মাস বাকি থাকতে বড় এক দলবদল ঘটালেন বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পার্নো মিত্র। তিনি ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ছেড়ে সরাসরি যোগ দিলেন রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসে।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এই খবর নিশ্চিত হয়। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ঠিক পরেই বিজেপির শরিক হন পার্নো। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে তাঁকে বরাহনগর কেন্দ্র থেকে প্রার্থীও করা হয়েছিল। কিন্তু সেবার তৃণমূলের প্রার্থী তাপস রায়ের কাছে তিনি হেরে যান। মজার ব্যাপার হলো, পরে ওই তাপস রায়ই বিজেপিতে চলে যান! সেখানকার উপনির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে জয়ী হন আরেক অভিনেত্রী সায়ন্তিকা ব্যানার্জি।
এবার পালাবদলের পালা। বিজেপির পদ্মফুল ছেড়ে তিনি এখন যোগ দিলেন তৃণমূলের 'ঘাসফুলে'। শুক্রবার কলকাতার তৃণমূল ভবনে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং দলের সিনিয়র নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে দলে ভিড়েন তিনি। মন্ত্রী চন্দ্রিমাই পার্নোর হাতে তুলে দেন তৃণমূলের পতাকা।
নতুন দলে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ভূয়সী প্রশংসা করেন পার্নো মিত্র। তিনি বলেন, "আমার নতুন পথচলা শুরু হলো।" একইসঙ্গে স্পষ্টভাবে স্বীকার করে নেন যে বিজেপিতে যোগ দেওয়াটা তাঁর একটি ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। পার্নোর ভাষ্য, "বিজেপিতে যোগদান করা আমার ভুল ছিল। এখন সেই ভুল শুধরে নেওয়ার সময় এসেছে। মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে তৃণমূলে যোগদান করাটা আমার কাছে বড় ব্যাপার। ছয় বছর আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম, কিন্তু আমি সেখানে সাফল্য পাইনি।"
পার্নো মিত্রের পেশাজীবন:
অভিনয়জীবন শুরু ২০০৭ সালে টেলিভিশন ধারাবাহিক ‘খেলা’ দিয়ে। পরে পরিচালক অঞ্জন দত্ত তাঁকে নিয়ে আসেন বড় পর্দায়। ‘রঞ্জনা আমি আর আসব না’ সিনেমায় নায়িকা হন তিনি। ‘বেডরুম’, ‘মাছ মিষ্টি অ্যান্ড মোর’, ‘রাজকাহিনী’, ‘আলিনগরের গোলকধাঁধা’র মতো বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় বাংলা ছবিতে কাজ করেছেন পার্নো।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের নির্বাচনে বিজেপি পায়েল সরকার, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, তনুশ্রী চক্রবর্তীর মতো একাধিক তারকাকে প্রার্থী করেছিল। কিন্তু পার্নো মিত্র সহ বেশিরভাগই জয়ী হতে পারেননি।