এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৬:১২ পিএম

ইউক্রেনের আবাসিক এলাকা ও কিয়েভের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ফাঁকি দিতে রাশিয়া তার মিত্র বেলারুশের ভূখণ্ড ব্যবহার করছে—এমন অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকের পর মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে জেলেনস্কি লিখেছেন, “আমরা লক্ষ্য করছি, রাশিয়ানরা প্রতিবেশী বেলারুশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে আমাদের প্রতিরক্ষামূলক ইন্টারসেপ্টর অবস্থান এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এর জন্য বেলারুশকে মূল্য দিতে হতে পারে।”
নতুন পারমাণবিক হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের দাবি
এর আগে ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, মস্কো সম্ভবত পূর্ব বেলারুশের একটি সাবেক বিমানঘাঁটিতে নতুন পারমাণবিক হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে। এটি ইউরোপের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার ক্ষেত্রে রাশিয়ার সক্ষমতা বাড়ানোর একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
জেলেনস্কি বলেন, “এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে, বেলারুশ রাশিয়ার আগ্রাসী উচ্চাকাঙ্ক্ষার স্বার্থে নিজের সার্বভৌমত্ব বিসর্জন দিচ্ছে।”
আবাসিক ভবনে রাশিয়ার সরঞ্জাম মোতায়েন
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরও জানিয়েছেন, বেলারুশ সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায়—এমনকি আবাসিক ভবনের ওপরও—রাশিয়ার বাহিনীকে সহায়তার জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম মোতায়েন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, “সাধারণ পাঁচতলা অ্যাপার্টমেন্টের ছাদে অ্যান্টেনা ও অন্যান্য সরঞ্জাম বসানো হয়েছে, যা ‘শাহেদ’ রুশ ড্রোনগুলোকে আমাদের পশ্চিমাঞ্চলের লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছাতে সাহায্য করে। এটি মানুষের জীবনের প্রতি চরম অবজ্ঞা, এবং মিনস্কের উচিত এই খেলা বন্ধ করা।”
তবে এ বিষয়ে রাশিয়া ও বেলারুশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
ইতিহাস পুনরায়?
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা শুরুর সময়ও রাশিয়া বেলারুশের ভূখণ্ড ব্যবহার করেছিল। যদিও বেলারুশ রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র, দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, এই যুদ্ধে তিনি কোনো সেনা পাঠাবেন না।
উপগ্রহ চিত্রে নতুন উদ্বেগ
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই মার্কিন গবেষকের উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণে দেখা গেছে—রাশিয়া পূর্ব বেলারুশে নতুন পারমাণবিক হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘ওরেশনিক’ মোতায়েন করছে। বিষয়টি ইউরোপজুড়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে।