এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৫:১২ পিএম

ডিগ্রি বা যোগ্যতা ছাড়াই নিজেকে আইনজীবী দাবি করে আদালতে ঝড় তুলেছিলেন এক ব্যক্তি। মোট ২৬টি মামলা জিতে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এক সময় ধরা পড়ে যায় তার এই প্রতারণার জাল। তিনি আসলে একজন ‘ভুয়া আইনজীবী’।
এই অবিশ্বাস্য কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছেন কেনিয়ার ব্রায়ান মওয়েন্ডা ন্টউইগা। তিনি নিজেকে একজন দক্ষ আইনজীবী হিসেবে পরিচয় দিয়েই আদালতে মামলা লড়তে শুরু করেন এবং একের পর এক সাফল্য পান। কিন্তু পরে এক রহস্য উদঘাটন হলে সবাই জানতে পারে, তার আইন বিষয়ে কোনও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ ছিল না।
কীভাবে এতদিন ধরা পড়ল না?
ব্রায়ান ছিলেন অত্যন্ত চালাক। তিনি হ্যাক করে কেনিয়ার ল’ সোসাইটির অফিসিয়াল পোর্টালে প্রবেশ করেন এবং সেখানকার আসল আইনজীবীদের প্রোফাইলে নিজের ছবি জুড়ে দেন। এর ফলে আদালতের বিচারক থেকে শুরু করে মক্কেল—কেউই তার আসল পরিচয় বুঝতে পারেননি। তার আত্মবিশ্বাসী উপস্থাপনা এবং কোর্টরুমে দৃঢ়তা তাকে দীর্ঘদিন ধরে সবার চোখে ধুলো দিতে সাহায্য করেছিল।
কীভাবে ধরা পড়লেন?
সতর্ক না হওয়া পর্যন্ত তার এই ভুয়া পরিচয় চালিয়ে গেছেন ব্রায়ান। অবশেষে কোন এক ফাঁকে তার এই প্রতারণার খবর পুলিশের কাছে পৌঁছায়। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং এখন এই ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এই ঘটনা কেনিয়ার বিচারব্যবস্থা এবং আইনজীবী যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়ার ওপরও বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
বড় প্রশ্ন রেখে গেলেন ব্রায়ান
এই ঘটনা প্রমাণ করছে, আইনের মতো গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল ক্ষেত্রেও যথাযথ যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া কতটা জরুরি। নইলে ব্রায়ানের মতো ভুয়া আইনজীবীরা সহজেই প্রতারণার সুযোগ পেতে পারেন। মক্কেলরা তাদের আসল যোগ্যতা না জেনেই বিশ্বাস করে বসতে পারেন।