এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৫:১২ পিএম

বাংলাদেশ ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর একটা মন্তব্য নিয়ে বিরোধী দলগুলোতে ব্যাপক হইচই পড়ে গেছে। তিনি বাংলাদেশকে সবক শেখাতে গাজায় ইসরাইলের আক্রমণের উদাহরণ টেনেছেন। বিজেপি নেতারা বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে প্রায়ই এমন উস্কানিমূলক কথা বলে যাচ্ছেন।
তিন দিন আগে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছিলেন, প্রতিবেশী দেশের সংকটের স্থায়ী সমাধান কেবল ‘অস্ত্রোপচারের’ মাধ্যমেই সম্ভব। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তো একেবারে নির্লজ্জভাবে গাজায় ইসরাইলের অমানবিক হত্যাকাণ্ডকে টেনে এনেছেন বাংলাদেশ প্রসঙ্গে।
শনিবার শুভেন্দু বলেছেন, ইসরাইল গাজাকে যা শিখিয়েছে তার মতোই বাংলাদেশকেও শিক্ষা দেওয়া উচিত। প্রতিবেশী দেশে হিন্দু হত্যার প্রতিবাদে শুভেন্দু দলীয় নেতা এবং সাধুসন্তদের নিয়ে কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে গিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে স্মারকলিপিও দিয়ে এসেছেন। বিজেপি নেতা হুমকির সুরে বলেছেন, ‘সবক শিখানা চাহিয়ে। জ্যায়সে ইসরাইল শিখায়া গাজা মে। উস তারে সে।’ ভারত ১০০ কোটি হিন্দুর দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘হিন্দু হিত মে চল রাহা হ্যায় সরকার। সবক শিখানা চাহিয়ে। যাইসে অপারেশন সিন্দুর মে পাকিস্তান কো হাম লোগোনে শিখায়া।’
বিজেপি নেতার এই হঠকারী মন্তব্যের সমালোচনা করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।
তৃণমূল কংগ্রেস সমাজ মাধ্যমে লিখেছে, ‘বিজেপি ঘৃণা এবং অসহিষ্ণুতাকে একটি শিল্পের আকারে নিখুঁত করেছে। তাদের বিষাক্ত মুখ শুভেন্দু অধিকারী তার ফ্যাসিবাদী মনোভাবকে তুলে ধরেছেন। গণহত্যার মত ইস্যুকে উস্কে দিয়ে তিনি বলেছেন, ভারতকে অবশ্যই মুসলমানদের একটি পাঠ শেখাতে হবে যেমন ইসরাইল গাজায় শিখিয়েছিল।’ তৃণমূল কংগ্রেস শুভেন্দুর মন্তব্যকে ‘নগ্ন ঘৃণামূলক বক্তব্য, গণহত্যা ও শুদ্ধিকরণের রক্তপিপাসু আহ্বান’ বলে অভিহিত করেছে।
কোনও এফআইআর নেই। কোনও গ্রেপ্তার নেই। কোনও মামলা নেই। এই ঘোষিত হিটলারের উপর কোনও ইউএপিএ চাপানো হয়নি।’ কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বলও বলেছেন, শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের জন্য ‘কোনও এফআইআর হয়নি, কোনও গ্রেপ্তার হয়নি, কোনও মামলা হয়নি, কোনও ইউএপিএ হয়নি’।
তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ এবং রাজ্যসভায় দলের উপনেতা সাগরিকা ঘোষ পোস্ট করে বলেছেন, ‘বিজেপির বাংলার ‘মুখ’ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গাজার মতো অভিযান চায়। সে বলে যে নরেন্দ্র মোদী সরকার কেবল ‘হিন্দুদের’ জন্য। তবে বাংলায় বিভাজন ও শাসনের নোংরা রাজনীতি কাজ করবে না।’