ঢাকা, মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৫ | ১৫ পৌষ ১৪৩২
Logo
logo

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পাল্টা জবাব! এখন যেসব দেশ আমেরিকানদের ভিসা বন্ধ করছে


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৬:১২ পিএম

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পাল্টা জবাব! এখন যেসব দেশ আমেরিকানদের ভিসা বন্ধ করছে

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের আরও ২০টি দেশ ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। এর ফলে এখন মোট ৩৯টি দেশ হয় সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার মুখে, নয়তো শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন।

মালি, দক্ষিণ সুদান, নাইজার, বুর্কিনা ফাসো, সিরিয়া এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে সেই তালিকায় যোগ করা হয়েছে, যাদের নাগরিকরা একেবারেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। অন্যদিকে, অ্যাঙ্গোলা, অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা, বেনিন, ডোমিনিকা, গ্যাবন, গাম্বিয়া, আইভরি কোস্ট, মালাউই, মৌরিতানিয়া, নাইজেরিয়া, সেনেগাল, তানজানিয়া, টোঙ্গা, জাম্বিয়া এবং জিম্বাবুয়ের নাগরিকদের জন্য ছাত্র ও ব্যবসায়িক ভিসা পাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার তালিকায় উঠলেই পাল্টা জবাব
এই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় তাদের দেশের নাম উঠতেই, একাধিক দেশের কূটনীতিক ও রাষ্ট্রপ্রধান তীব্র নিন্দা ও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডার প্রধানমন্ত্রী গ্যাস্টন ব্রাউন এক বিবৃতিতে বলেছেন, তার সরকার ‘গভীরভাবে হতাশ’। কারণ বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব প্রদানের জন্য শিথিল নিয়মের যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা ‘আমাদের আইনের বর্তমান বাস্তবতা প্রতিফলিত করে না’।

নাইজারের কঠোর পাল্টা পদক্ষেপ
নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোর দুই সপ্তাহ পরই পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজার সবচেয়ে কঠোর পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা পরিস্থিতি পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

একজন সরকারি প্রতিনিধি অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছেন, ‘নাইজার সমস্ত মার্কিন নাগরিকদের ভিসা প্রদান সম্পূর্ণরূপে ও স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য তার ভূখণ্ডে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রবেশ নিষিদ্ধ করছে।’

নাইজার একটি স্থলবেষ্টিত দেশ, যার সীমান্ত আলজেরিয়া, লিবিয়া, চাদ, নাইজেরিয়া, বেনিন, মালি এবং বুর্কিনা ফাসোর মতো দেশগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত। মূলত মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ এই দেশটির জনসংখ্যা মাত্র আড়াই কোটির কিছু বেশি। যদিও যুদ্ধ, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অভ্যুত্থানের ইতিহাসের কারণে পশ্চিমা দেশগুলো থেকে নাইজারে খুব কম মানুষই ভ্রমণ করে, তবুও তাদের সরকারের এই পদক্ষেপ দুই দেশের সম্পর্কে বড় ধরনের চিড় ধরাতে পারে।

চাদেরও একই সিদ্ধান্ত
একইভাবে, গত বছর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার প্রথম সংস্করণ চালু করার সময় চাদ সরকারও একই রকম পদক্ষেপ নিয়েছিল। মার্কিন তালিকায় তাদের নাম উঠার প্রতিক্রিয়ায় এই মধ্য আফ্রিকান দেশটিও জানিয়েছে, তারা মার্কিন নাগরিকদের জন্য সব নতুন ভিসা নিষিদ্ধ করবে এবং এখনও প্রক্রিয়াধীন থাকা ভিসাগুলো বাতিল করবে।

৫ জুন চাদের প্রেসিডেন্ট মহামত ইদ্রিস দেবি একটি ফেসবুক পোস্টে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে লিখেছিলেন, ‘আমি সরকারকে পারস্পরিক সহযোগিতার নীতি অনুসারে কাজ করার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ভিসা প্রদান স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছি।’