এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:১২ পিএম

ঘন কুয়াশার মধ্যেই বল হাতে ঝড় তুলে নেমেছিলেন রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের পেসার রিপন মন্ডল। তার তীব্র বোলিং আক্রমণে খড়কুটোর মতোই ভেঙে পড়েছে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের ব্যাটিং লাইনআপ। এরপর রাজশাহী যদিও কিছুটা বাঁধার মুখে পড়েছিল, শেষ পর্যন্ত মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলীর অপরাজিত ব্যাটিংয়ে দলটি তুলে নেয় সহজ জয়।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবারের ম্যাচে নবাগত নোয়াখালীকে টানা তৃতীয় পরাজয়ের স্বাদ দিল রাজশাহী। নাজমুল হোসেন শান্তর দল জয় পেয়েছে ৬ উইকেটে। তিন ম্যাচে এটি রাজশাহীর দ্বিতীয় জয়। আগে ব্যাট করে মাত্র ১২৪ রানে অল-আউট হয় নোয়াখালী। রাজশাহী তখনও ১৩ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। ১৩ রানে ৪ উইকেট শিকারের অসাধারণ ফিগারে ম্যাচ সেরা হন রাজশাহীর এই তরুণ পেসার রিপন।
কীভাবে জিতল রাজশাহী?
এত ছোট লক্ষ্য তাড়ায় নামলেও শুরুটা মোটেও সহজ ছিল না রাজশাহীর। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই তাদের ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান (০) কে বোল্ড করে দারুণ চাপ তৈরি করেন নোয়াখালীর হাসান মাহমুদ। তবে দ্বিতীয় উইকেটে তানজিদ হাসান তামিম ও অধিনায়ক শান্ত ৬৫ রানের দারুণ জুটি গড়ে দলকে শক্ত জায়গায় নিয়ে যান।
কিন্তু দুর্ভাগ্য, দুজনেই দ্রুত রান আউট হন। রেজাউর রহমান রাজার বলে ক্যাচ দিয়ে শান্ত (২৫) ফেরার পর জহির খানের স্পিনে বোল্ড হন তানজিদ (৩২)। এরপর হোসেইন তালাতও দ্রুত বিদায় নিলে রাজশাহী কিছুটা চাপে পড়ে। কিন্তু সেই চাপ দূর করেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলী। তারা ৫৬ বলের অপরাজিত ৫২ রানের জুটিতে দলকে নিরাপদে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। মুশফিক করেন ৩০ বলে ২৮, আর ইয়াসির করেন ২৬ বলে ২৩ রান।
নোয়াখালীর ব্যাটিং কেন ভেঙে পড়ল?
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপত্তি শুরু হয় নোয়াখালীর। তানজিম হাসান সাকিব ও বিনুরা ফার্নান্দোর মতো অভিজ্ঞদের ছাপিয়ে পুরো আলো নিজে কেড়ে নেন তরুণ রিপন মন্ডল। মাত্র ১৩ রান খরচায় ৪ উইকেট নেয়ার এই ফিগারটি তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং পারফরম্যান্স।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই হাবিবুর রহমান সোহানকে বিনুরা ফেরান। পঞ্চম ওভারে রিপন শুরু করেন তার উইকেট সংগ্রহের উৎসব। নোয়াখালীর পক্ষে কিছুটা লড়াই করা পাকিস্তানি মাজ সাদাকাতকে (২৫) ফেরান তারই দেশি হোসেইন তালাত। নিচের দিকে ব্যাটিং করতে নেমে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (১৯) কিছু রান করলেও তার ইনিংস ছিল মন্থর। শেষদিকে রিপন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নেন। বিপদজনক হয়ে ওঠা হায়দার আলিকে (৩৩) আউট করার পর রেজাউর রহমান রাজা ও হাসান মাহমুদকে ফিরিয়ে ইনিংস শেষ করেন তিনি। তার এই বিধ্বংসী স্পেলে ১২৪ রানেই গুটিয়ে যায় নোয়াখালীর ইনিংস।