ঢাকা, মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৫ | ১৬ পৌষ ১৪৩২
Logo
logo

আতঙ্ক সিএসকে ক্যাম্পে! দলের নতুন ক্রিকেটার আমান খানের রেকর্ড, সবচেয়ে বেশি রান খরচা


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৩:১২ পিএম

আতঙ্ক সিএসকে ক্যাম্পে! দলের নতুন ক্রিকেটার আমান খানের রেকর্ড, সবচেয়ে বেশি রান খরচা

চলতি বিজয় হাজারে ট্রফির ভিএইচটি একদফা ম্যাচে দেখা গেল নাটক, রেকর্ড আর বড় বড় পারফরম্যান্স। তবে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা এল পুদুচেরি বনাম ঝাড়খণ্ড ম্যাচ থেকে, যেখানে পুদুচেরির অধিনায়ক আমান খানের বলিং ভয়াবহ রকমের দুর্বল ছিল।

সিএসকের আমান খানের অভিনেতা বিশ্ব রেকর্ড
চেন্নাই সুপার কিংসের (সিএসকে) নতুন বোলিং রিক্রুট আমান খান রেকর্ড বইতে জায়গা করে নিয়েছেন, তবে তা একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে। বিজয় হাজারে ট্রফির এক ম্যাচে ঝাড়খণ্ডের বিপক্ষে তার ১০ ওভারে রান খরচ হয়েছে মোট ১২৩। এটি লিস্ট এ ক্রিকেটের ইতিহাসে একজন বোলারের সর্বোচ্চ রান খরচের নতুন রেকর্ড।

এই অভিনেতা পারফরম্যান্স আইপিএল ২০২৬-এর আগেই সিএসক ভক্তদের মধ্যে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে। আগের অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড ছিল ০/১১৬, যা গত সপ্তাহেই এই টুর্নামেন্টে হয়েছিল।

কী হয়েছিল সেই ম্যাচে?
পুদুচেরির হয়ে খেলতে নেমে সিএসকের এই বোলারকে ঝাড়খণ্ডের ব্যাটাররা একেবারে রীতিমতো উড়িয়েই দিয়েছে। তার বলিংয়ের সুবাদে ঝাড়খণ্ড দল ৭ উইকেটে জমা করে বিশাল ৩৬৮ রান। জবাবে পুদুচেরি মাত্র ৪২ ওভারের মধ্যে ২৩৫ রানে অলআউট হয়ে যায় এবং ১৩৩ রানে হেরে যায় ম্যাচটি। এটি পুদুচেরির টানা তৃতীয় হার।

এই পরিসংখ্যান আইপিএলের মতো উচ্চচাপের টুর্নামেন্টে তার মানসিকতা ও সামর্থ্য নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

লিস্ট এ ক্রিকেটের সবচেয়ে খারাপ বোলিং ফিগার
আমান খান এখন এই অপ্রীতিকর তালিকার সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছেন। তার ০/১২৩-এর পরই রয়েছে গত সপ্তাহের ০/১১৬-এর রেকর্ড।

আমান খানের ক্যারিয়ার
আমান খান তার লিস্ট এ ক্যারিয়ার শুরু করেন ২০২১ সালে, মুম্বইয়ের হয়ে সৌরাষ্ট্রের বিপক্ষে। পরে আরও সুযোগের সন্ধানে তিনি পুদুচেরিতে চলে যান, যেখানে তার অল-রাউন্ডার দক্ষতা নজর কাড়ে। আইপিএলে তার আবির্ভাব ২০২২ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে, তারপর ২০২৩ সালে দিল্লি ক্যাপিটালসে সেরা পারফরম্যান্সের জন্য সিজনের সেরা খেলোয়াড় হন।

আইপিএল ২০২৬ নিলামে তাকে ৪০ লাখ রুপিতে কিনে নেয় চেন্নাই সুপার কিংস। লিস্ট এ ক্রিকেটে এই অল-রাউন্ডারের পরিসংখ্যান হলো ১৬ ম্যাচে ১৭ উইকেট ও ৩১৯ রান। টি-টোয়েন্টিতে ৩২ ম্যাচে তার রয়েছে ৫০০ রান ও ১০ উইকেট।

মজার তথ্য:
এই রাউন্ডে সৌরাষ্ট্রও একটি মর্মান্তিক হার খেলে। তারা ৭ উইকেটে ৩২০ রান করলেও, দিল্লি ৩ উইকেট হাতে রেখেই ৭ উইকেটে জয়ী হয়ে ম্যাচটি নিজেদের করে নেয়।