ঢাকা, মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৫ | ১৬ পৌষ ১৪৩২
Logo
logo

স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই শেষে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া: গণতন্ত্রের চেতনায় নেতৃত্ব


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৪:১২ পিএম

স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই শেষে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া: গণতন্ত্রের চেতনায় নেতৃত্ব

১৯৯১ সালের ৯ মার্চ বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ।

১৭ মার্চ, ১৯৯১ সালে দ্য মর্নিং সান খালেদা জিয়ার নিয়োগ নিয়ে লিখেছে—

“অবশেষে দীর্ঘ প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। ৯ বছর ধরে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন খালেদা জিয়া। এই সংগ্রাম ছিল গণতন্ত্রের জন্য, বাকস্বাধীনতার জন্য, ভোটাধিকারের জন্য এবং দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষার জন্য।
সংগ্রামের মূল উদ্দেশ্য ছিল এমন একটি সমাজ গড়ে তোলা, যেখানে ভিন্ন মত প্রকাশের সুযোগ থাকবে। ৯ বছর স্বতন্ত্র অবস্থানে থেকে সংগ্রামকালে সুযোগসন্ধানী সহকর্মীদের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরও নানা প্রলোভন থাকা সত্ত্বেও কিছুই তাকে তার অবস্থান থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। তিনি অবৈধ শাসকের সঙ্গে আপস করেননি।
খালেদা জিয়া ও তার দল জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, জাতির মর্যাদা, উন্নয়ন, ত্রুটিমুক্ত সরকার এবং অর্থনীতির বেসরকারিকরণে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। তার আবেদন অনন্যসাধারণ ছিল এবং তা তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে যেখানে তিনি গেছেন, হাজার হাজার মানুষ সমবেত হয়েছে।”

দ্য মর্নিং সান আরও লিখেছে—

“খালেদা জিয়ার অর্জন তার সুন্দর মুখাবয়বের জন্য হয়নি; বরং তার বক্তব্য শোনার পর মানুষ তাকে তাদের পরিত্রাতা হিসেবে গণ্য করেছে। ১৯৮৭ সালে উত্তরবঙ্গ সফরে গ্রামের মহিলারা রাতভর লণ্ঠন নিয়ে তার কথা শোনার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন, যেন সাধারণ মানুষকে তিনি সম্মোহিত করেছিলেন। যথাসময়ে মানুষও তাকে তার প্রতিদান দিয়েছে, যা বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশে বিরল ঘটনা।”

দ্য মর্নিং পোস্ট মন্তব্য করেছে—

“ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হলেও বিএনপি আবারও ক্ষমতায় ফিরে আসতে পারে। এটি খালেদা জিয়ার নেতৃত্বের দৃঢ়তার প্রমাণ।”

উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া বাংলাদেশ সংবিধানের ৫৮(৩) অনুচ্ছেদের অধীনে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন।

সূত্র: বেগম খালেদা জিয়া: জীবন ও সংগ্রাম, মাহফুজ উল্লাহ, পৃষ্ঠা ৪০২