ঢাকা, বুধবার, ডিসেম্বর ৩১, ২০২৫ | ১৭ পৌষ ১৪৩২
Logo
logo

গাজার ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নেওয়ার 'গভীর ষড়যন্ত্র'? সোমালিরাষ্ট্রের অভিযোগ, ইসরাইলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দাবি!


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৫:১২ পিএম

গাজার ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নেওয়ার 'গভীর ষড়যন্ত্র'? সোমালিরাষ্ট্রের অভিযোগ, ইসরাইলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দাবি!

সোমালিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া সোমালিল্যান্ডকে ইসরাইলের স্বীকৃতি দেওয়ার ঘটনাকে 'অদ্ভুত ও অপ্রত্যাশিত' বলে মন্তব্য করেছেন সোমালি প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মোহাম্মদ। একইসাথে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, এই সিদ্ধান্তের প্রভাব গাজার ফিলিস্তিনিদের ওপর পড়তে পারে।

তুরস্কের ইস্তাম্বুল থেকে আল জাজিরাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বলেন, "সোমালিল্যান্ড গত তিন দশক ধরে সোমালিয়া থেকে আলাদা হওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু এতদিন বিশ্বের কোনো দেশই এই দাবিকে স্বীকৃতি দেয়নি।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে দেশটিকে আবার একত্রিত করার চেষ্টা করছি। এমন পরিস্থিতিতে ৩৪ বছর পর ইসরাইল হঠাৎ করে এগিয়ে এসে সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেবে—এটা সত্যিই অপ্রত্যাশিত ও অস্বাভাবিক।"

কী ঘটেছে?
গত সপ্তাহে ইসরাইল প্রথম এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র দেশ হিসেবে সোমালিল্যান্ডকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়। সোমালিল্যান্ড উত্তর-পশ্চিম সোমালিয়ার একটি বিচ্ছিন্ন অঞ্চল, যা এডেন উপসাগরের তীরবর্তী এলাকায় অবস্থিত।

ইসরাইলের 'তিন শর্ত' দাবি সোমালি প্রেসিডেন্টের
আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সোমালি প্রেসিডেন্ট আরও দাবি করেন, সোমালিয়ার গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, এই স্বীকৃতির বিনিময়ে ইসরাইলের তিনটি শর্ত মেনে নিয়েছে সোমালিল্যান্ড। শর্তগুলো হলো:
১. ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসন
২. এডেন উপসাগরের উপকূলে একটি ইসরাইলি সামরিক ঘাঁটি স্থাপন
৩. সোমালিল্যান্ডের আব্রাহাম চুক্তিতে যোগদান

আব্রাহাম চুক্তি কী?
আব্রাহাম চুক্তি হলো ইসরাইল ও কয়েকটি আরব দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত একাধিক চুক্তির সমষ্টি। সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরক্কো ও সুদান ইতোমধ্যে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।

'গোপনে ইসরাইলি উপস্থিতি ছিল'
হাসান শেখ মোহাম্মদ আরও বলেন, সোমালিয়ার কাছে এমন গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে, যা থেকে জানা যায়— সোমালিল্যান্ডে আগে থেকেই একটি নির্দিষ্ট মাত্রার ইসরাইলি উপস্থিতি রয়েছে। তার ভাষায়, ইসরাইল এতদিন গোপনে এই অঞ্চলকে স্বীকৃতি দিয়ে এসেছে, এবার সেটিকে আনুষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হলো।