ঢাকা, শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০
Logo
logo

করোনার চেয়েও ভয়াবহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি : বাংলাদেশ ন্যাপ


এনবিএস ওয়েবডেস্ক     প্রকাশিত:  ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৩:০৯ পিএম

করোনার চেয়েও ভয়াবহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি : বাংলাদেশ ন্যাপ

দুই বছর করোনা মহামারির সঙ্গে লড়াই করা নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের জীবন দুর্বিষহ বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে করোনার চেয়েও ভয়াবহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন। তারা বলেন, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের এমনিতে চরম সঙ্কটে। চিকিৎসা, বাসস্থান, বস্ত্রের মতো মৌলিক চাহিদাগুলোতে ব্যয় কমিয়ে ফেলেছে দেশের জনসংখ্যার বড় একটা অংশ। এর মধ্যে করোনাভাইরাসের চেয়েও ভয়াবহ হয়ে দাঁড়িয়েছে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও টিকা নিয়ে করোনাভাইরাস ঠেকানো সম্ভব হলেও, নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে রীতিমতো অসহায় দেশবাসী। সাধারণ মানুষের আয়ের বড় অংশই খরচ করতে হয় বাসা ভাড়া ও বাজারের পেছনে। ফলে অনেকের সন্তানের লেখাপড়াতেও ছেদ পড়েছে। নেতৃদ্বয় বলেন, বাজারের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ আছে বলে দেশবাসী মনে করে না। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন অজুহাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে সাধারণ মানুষকে বিপাকে ফেলছে। একবার যে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পায়, তা আর কমে না। সরকারের ব্যার্থতার কারণেই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আসছে না। তারা বলেন, ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণের জন্য সরকারের কোন প্রতিষ্ঠানের কোন কার্যকর পদক্ষেপ দেশবাসী প্রত্যক্ষ করছে না। ফলে একশ্রেণির সুবিধাবাদী ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো পণ্যের দাম বৃদ্ধি করছে। এতে সাধারণ মানুষের জীবনধারণ কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায় রাখতে না পারলে দরিদ্র মানুষের জীবন আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে। নেতৃদ্বয় বলেন, দেশের সাধারণ মানুষের স্বার্থে নিত্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সরকারকে আমদানি, পাইকারি ও খুচরা উভয় পর্যায়ে বাজার তদারকি বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি বিকল্প ব্যবস্থাপনায় চাল, আটা, চিনি, পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্য প্রান্তিক, শ্রমজীবী ও সীমিত আয়ের মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য একটি ব্যবস্থাপনা তৈরি; বিশেষ করে করোনাকালে যাদের আয় কমে গেছে, তাদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতাও বৃদ্ধি করতে হবে। গ্রাম ও শহরাঞ্চলের প্রান্তিক ও শ্রমজীবী মানুষ যাতে খেয়ে-পরে বাঁচতে পারে, সে জন্য নিত্যপণ্যের দাম যেমন স্থিতিশীল রাখতে হবে। তেমনি তাদের আয় বাড়ানোর সুযোগ তৈরি করতে হবে।