ঢাকা, শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০
Logo
logo

৫০ বছর পর চাঁদে আবার মানুষ যাবে, নাসার আর্টেমিস মিশন শুরু হচ্ছে আজ থেকেই


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ১৭ নভেম্বর, ২০২২, ০৯:১১ পিএম

৫০ বছর পর চাঁদে আবার মানুষ যাবে, নাসার আর্টেমিস মিশন শুরু হচ্ছে আজ থেকেই

৫০ বছর পর চাঁদে আবার মানুষ যাবে, নাসার আর্টেমিস মিশন শুরু হচ্ছে আজ থেকেই

 নাসার এখন অনেক দায়িত্ব। চন্দ্র অভিযানে পৃথিবীকে তাক লাগিয়ে দেবে শিগগিরই। মঙ্গল, শুক্রে পাড়ি দিতেও হবে। আপাতত নাসার চন্দ্রাভিযান আর্টেমিস মিশনের (NASA Artemis 1) জন্য বিশাল উদ্যোগ-আয়োজন চলছে। এই মিশনের পাঁচটি ভাগ রয়েছে, যার মধ্যে মানুষ নিয়ে চাঁদে ল্যান্ড করার পরিকল্পনাও আছে। নভশ্চরদের নিয়ে চাঁদে পাড়ি দিতে হলে যেমন তেমন মহাকাশযানে হবে না, এর জন্য বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট বানিয়ে ফেলেছে নাসা। পৃথিবীর মাটি থেকে হুশ করে উড়ে একেবারে চাঁদে গিয়ে ল্যান্ড করবে এই রকেট।
৫০ বছর পরে ফের চাঁদে মানুষ নিয়ে যাবে নাসা। তার তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। নাসার আর্টেমিস মিশনের প্রথম ধাপ শুরু হচ্ছে আজ থেকেই। আর্টেমিস-১ রকেট আজই চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেবে। এর মূল লক্ষ্য চাঁদের মাটিতে নামার জন্য সম্ভাব্য ল্যান্ডিং সাইটগুলোকে দেখে রাখা। এটি যাত্রিবিহীন অভিযান। এর পরেও ধাপে একইভাবে পরীক্ষা চলবে. তারপর নভশ্চর নিয়ে চাঁদে পাড়ি দেবে নাসার রকেট।

কাউন্ডডাউন শুরু হয়ে গেছে। ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ উড়বে নাসার ওরিয়ন ক্যাপসুল। ২৫ দিনের প্যাকেজ। চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে অবতরণের জায়গাগুলো চিহ্নিত করে আসবে ওরিয়ন। মহাকাশচারীদের জন্য লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম ঠিকঠাক ভাবে কাজ করছে কি না তা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে আসবে স্পেস রকেট। 
নাসার পরবর্তী চন্দ্রাভিযান নিয়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে। চাঁদের কক্ষপথে প্রথম ‘লুনার স্পেস স্টেশন’ বানাচ্ছে নাসা। এই প্রকল্পের নাম  ‘গেটওয়ে টু মুন’ বা ‘আর্টেমিস’। পৃথিবীর জোরালো অভিকর্ষজ বলের মায়া কাটিয়ে মহাকাশযানকে চাঁদে পাঠানোর ঝক্কি অনেক। কাজেই লুনার স্পেস স্টেশন হলে সেখানে বসেই গবেষণা চালানো যাবে। আবার যান বানিয়ে যখন তখন পাঠিয়ে দেওয়া যাবে মহাকাশে।

চাঁদে যখন তখন পাড়ি দেওয়ার জন্য স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (এসএলএস) রকেট বানিয়েছে নাসা। এই প্রোগ্রামের ম্যানেজার জন হানিকাট বলেছেন, আর্টেমিস-১ মিশনের পর থেকে পরবর্তী সবকটি মিশনই খুব জটিল হবে। চাঁদে মানুষ নিয়ে যাওয়ার বড় পরিকল্পনা আছে। লুনার স্টেশনের কাজও শেষ করতে হবে। তাই এমন রকেট দরকার ছিল যা উন্নত প্রযুক্তির ও শক্তিশালী হবে। সে জন্যই এসএলএস রকেট তৈরি করা হয়েছে। এর আরএস-২৫ ইঞ্জিন প্রচুর পরিমাণ শক্তি তৈরি করবে। খুব কম সময় চাঁদ বা অন্যান্য মহাকাশ অভিযানে পাড়ি দিতে পারবেন নভশ্চররা।
৫৫ বছর আগে নিল আর্মস্ট্রং, মাইকেল কলিন্স আর এডুইন (বাজ) অলড্রিনের মতো খুব অল্প সময়ের জন্য এ বার চাঁদের বুকে পা পড়বে না মানুষের। হয়ত টানা এক সপ্তাহের জন্য চাঁদের বুকে গবেষণা চালাবেন নভশ্চররা। আর্টেমিসের এমন অনেক পরিকল্পনাই আছে। সে জন্য  ‘স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (এসএলএস)’ ও মহাকাশযান ‘ওরিয়ন’ তৈরি হয়েছে। মহাকাশচারীদের জন্য লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম ঠিকঠাক ভাবে কাজ করছে কি না তা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে আসবে স্পেস রকেট।

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) রয়েছে পৃথিবী থেকে বড়জোর ৩৭০ কিলোমিটার উপরে।  মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা (NASA), রাশিয়ার রসকসমস (Roscosmos), জাপানের জাক্সা (JAXA), ইউরোপের ইসএ (ESA) এবং কানাডার সিএসএ (CSA)—এই পাঁচটি মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের সম্মিলিত চেষ্টায় ১৯৯৮-২০১১ সালের মধ্যে গড়ে উঠেছিল আইএসএস। আর লুনার স্পেস স্টেশন তৈরি হচ্ছে পৃথিবী থেকে ৩ লক্ষ ৮০ হাজার কিলোমিটার দূরে। নাসা জানিয়েছে, স্পেস স্টেশন বানানোর প্রাথমিক কাজ শেষ হবে ২০২৩ সালের মধ্যে। দ্বিতীয় পর্যায়, অর্থাৎ নভশ্চরদের নিয়ে পাকাপাকি ভাবে বাসযোগ্য আস্তানা গড়ে তোলার কাজ শেষ হবে ২০২৮ সালের মধ্যেই।


 খবর দ্য ওয়ালের/এনবিএস/২০২২/একে