ঢাকা, বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১
Logo
logo

নৈরাজ্যকারীরা ইসলামী শাসন ব্যবস্থার কর্তৃত্বকে টার্গেট করেছে: আহমাদ খাতামি


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ১৮ নভেম্বর, ২০২২, ০৭:১১ পিএম

নৈরাজ্যকারীরা ইসলামী শাসন ব্যবস্থার কর্তৃত্বকে টার্গেট করেছে: আহমাদ খাতামি

নৈরাজ্যকারীরা ইসলামী শাসন ব্যবস্থার কর্তৃত্বকে টার্গেট করেছে: আহমাদ খাতামি

তেহরানের জুমার নামাজের খতিব বলেছেন: পুলিশ বাহিনী, সেনাবাহিনী, আইআরজিসি এবং বাসিজ ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের শাসন ব্যবস্থার কর্তৃত্বের প্রতীক।

আয়াতুল্লাহ আহমাদ খাতামি বলেন: ইসলামী শাসন ব্যবস্থার ক্ষতি করাই নৈরাজ্যকারীদের অন্যতম লক্ষ্য। জনাব খাতামি আজ তেহরানের জুমার নামাজের খুতবায় আর্ও বলেন: ইরানের বিভিন্ন শহরে সংঘটিত সাম্প্রতিক নৈরাজ্য সৃষ্টির লক্ষ্য ছিলো ইসলামি শাসন ব্যবস্থাকে উৎখাত করা। এই সত্য তারা নিজেরাই স্বীকার করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

দোকানপাট, বাজারঘাট বন্ধ করার জন্য নৈরাজ্যকারীদের হুমকির কথা উল্লেখ করে আয়াতুল্লাহ খাতামি বলেন: গোলযোগ সৃষ্টিকারীদের হুমকিতে কান দেবেন না। যারা নিজেদের দোকান বন্ধ করেছে তারা নৈরাজ্যকারীদের আক্রমণে তাদের মালামালের ক্ষতির ভয়েই করেছে।

বিশিষ্ট এই আলেম বলেন, ইসলামী শাসন ব্যবস্থার কর্তৃত্বের ক্ষতি করা নৈরাজ্যকারীদের আরেকটি লক্ষ্য ছিল।   কর্তৃত্বহীন কোনো সরকার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করতে পারে না। সে কারণেই নৈরাজ্যকারীরা ইসলামী ব্যবস্থার কর্তৃত্বকে টার্গেট করেছে বলে জনাব খাতামি মন্তব্য করেন। তিনি তাঁর বক্তৃতায় নৈরাজ্যকারীদের সনাক্ত করে দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসায় বিচার বিভাগের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন: নৈরাজ্যকারীরা তিন ধরনের। খুনি, ভিন্ন মতরে অধিকারী এবং বিদ্রোহী। ইসলামি আইন অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, মিথ্যা প্রচারণা, জ্বালাও-পোড়াও ধ্বংসলীলা চালিয়ে অর্থনৈতিক ক্ষতি করা ইত্যাদির বিচার করার আহ্বান জানান তিনি।

ইসলামি ইরানের অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাস সৃষ্টি করা আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইলি শত্রুদের কয়েক বছরের পুরোণো কৌশল। কিন্তু সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে শত্রুরা তাদের সকল রাজনৈতিক এবং মিডিয়া শক্তি ব্যবহার করে কিছু শহরে ওই নৈরাজ্যকে তীব্রতর করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছে।
 খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে